স্টাফ রিপোর্টার::
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের উদ্যোগে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন বিনাধান-১৬ এর নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের মিরেরচর গ্রামে এই ধান কাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল হাসান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন টিপু, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাকিব বলেন, বিনাধান ১৬, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ধান। এ ধান চাষ করলে কৃষক যেমন কম সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারেন তেমনি অন্য ধানের চেয়ে ফলনও বেশি হয়। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে সুনামগঞ্জে এবছর বিনাধান-১৬ জাতের ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছিলাম। কৃষকরা এ জাতের ধান চাষ করে খুবই লাভবান হচ্ছে। প্রতি কেয়ার (৩০ শতাংশে ১ কেয়ার) জমিতে ১৮ থেকে ১৯ মন ধান কম সময়ে উৎপাদন করতে পারছে কৃষক।
এসময় জলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, বিনাধান ১৬ আগাম জাত হিসেবে পরিচিত। বীজ বপন থেকে শুরু করে কাটতে ৯০ থেকে ৯৫ দিন সময় লাগে। ফলনও খুব ভালো। কম সময় লাগায় কৃষক তার ক্ষেতে অন্য রবি ফসলও করতে পারবে। এজাতের ধান কৃষকদের কাছে পৌচ্ছে দিতে পারলে কৃষক যেমন উপকৃত হবে দেশের কৃষিতেও ব্যাপক পরিবর্তন হবে।