স্টাফ রিপোর্টার::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, প্রত্যেকের নিজেকে বাঙালি মনে করেই দায়িত্বপালন করতে হবে। বারে বারে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরাধীনতার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছি আমরা। বাঙালিত্বকে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে আমাদের। তাহলেই অনেক কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পরিষদের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনপূর্ব সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও সুধীজনের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামের মানুষ, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন, চিন্তা করেন। আমারও সব সময় এমনই ইচ্ছা থাকে। এ জন্য তাঁর সঙ্গে কাজ করে শান্তি পাই। ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রী থাকার ইচ্ছায় কাজ করি না। এ ধরনের কোনো আকাঙ্ক্ষা আমার নেই।
এর আগে মন্ত্রী জেলা পরিষদ কর্তৃক এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫২ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ অনুষ্ঠানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। তিনি গবেষণা ও আবিষ্কারে মনোনিবেশ করতেও উৎসাহ প্রদান করেন।
মন্ত্রী দীর্ঘ সময় করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, করোনা বিদায় নেওয়া শুরু হয়েছে। আর কিছুদিন মাস্ক ও হাত ধুয়ে করোনার সক্রমণরোধে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে এবং সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক দেওয়ান গিয়াসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির জাফরান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল।
পরে সন্ধ্যায় পরিকল্পনামন্ত্রী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন