বিশেষ প্রতিনিধি::
দুই দশক পর দাবি পূরণ হলো সুনামগঞ্জের দুর্গম মধ্যনগরবাসীর। আজ ২৬ জুলাই সোমবার নিকারের (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি) সভায় উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সুনামগঞ্জের উত্তর-পশ্চিম নিয়ে বিস্তৃত ২২০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের প্রায় দেড় লাখ জনগণ অধ্যুষিত এই উপজেলাটি। দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল করেছেন। উপজেলা হিসেবে স্বীকৃত দানে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মুরাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা জানি পরিকল্পনামন্ত্রী মধ্যনগরকে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি এনে দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রী, সচিবসহ নিকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এর পক্ষে কাগজে সুপারিশ করছেন। এলাকার মানুষ হিসেবে আমরা তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। যারাই মধ্যনগরকে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতিদানে কাজ করেছে সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।
লেখক জীবন কৃষ্ণ বলেন, মধ্যনগরকে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতিদানে সবার আগে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপরে আমাদের সজ্জন মন্ত্রী এমএ মান্নানকে। তিনি বিভিন্ন দফতরে আমাদের পক্ষে সুপারিশ করেছেন। আমরা আমাদের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন মহোদয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
এদিকে মধ্যনগর উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নœানকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মধ্যনগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুমোদনের পরেই তাকে ফোন করে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের নেত্রী ২০০১ সালে মধ্যনগরকে উপজেলার প্রাথমিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পরে চারদলীয় জোট সরকার এসে এই ঘোষণাটি বাস্তবায়ন করেনি। আমি মন্ত্রীসভার সদস্য হবার পর বিভিন্ন দফতরে এবং নিকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নেত্রীর ঘোষণাটি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেছি। লিখিত দিয়েছি। এমনকি এবারের নিকারের বৈঠকের দুইদিন আগেও আমি মন্ত্রীপরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। মধ্যনগরকে উপজেলা ঘোষণার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীকেও বলেছি। আমরা মধ্যনগরকে উপজেলা করতে পেরে আনন্দিত। তিনি বলেন, উপজেলা অনুমোদনের পরেই মধ্যনগরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমাকে ফোন করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কৃতজ্ঞতার জবাবে আমি তাদের বলেছি জেলার উন্নয়নে আমি কাজ করে যাব।