সিলেট প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শকের (এসআই) ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু (৩৮) সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা চক্রান্তের শিকার বলে দাবি করেচেন পরিবার ও এলাকাবাসী।। গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতেই তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অপুর ভাই অ্যাডভোকেট অমিতাভ চৌধুরী রাহুল।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘সচেতন শাল্লাবাসীর’ আয়োজনে মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এচাড়াও আজ শনিবার শাল্লা শহিদ মিনারের সামনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ একি দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আতাত করে এসআই শাহ আলী এ ঘটনা সাজিয়েছেন বলে জানান বক্তারা।
অ্যাডভোকেট অমিতাভ চৌধুরী রাহুল বলেন, গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের মাওলান মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়ে জনরোষে পড়ার ঘটনার পরদিন তার স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও একাত্তর টিভিতে ফাঁস হলে সেটির লিংক ফেসবুকে শেয়ার করেন অরিন্দম অপু। এরপর থেকে টানা কয়েকদিন এই পোস্টে এবং ফেসবুকে নানা ভাবে সাম্প্রদায়িক হামলার হুমকি দিতে থাকেন স্থানীয় কয়েকজন।
পরে হুমকি দেওয়া ১৩ ব্যক্তির নাম উল্লেখ ১০ এপ্রিল শাল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় জানিয়ে অমিতাভ চৌধুরী আরো বলেন, আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও থানা থেকে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং এসআই শাহ আলী ফেসবুক স্ট্যাটাস মুছে দিতে এবং সাধারণ ডায়রি পরিবর্তন করতে আমার ভাইয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় আমরা এসআই শাহ আলীর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি গত ১৪ এপ্রিল পুলিশ সুপারকে জানালে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত শেষে শাহ আলীকে শোকজ করা হয়। এতে আমার ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। আর এ কারণেই আমার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে।
এর আগে গেলো ১২ জুলাই রাতে শাল্লা থানার এসআই শাহ আলীর উপর হামলা চালান কয়েকজন যুবক। এ ঘটনা যুবলীগ নেতা ও শাল্লা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অরিন্দম চৌধুরী অপুসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অপুর পরিবারের দাবি ছিলো তিনি সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
আবু আব্দুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও টিটু চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু,এডভোকেট সুব্রত তালুকদার, এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, মো. হোসেন, নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক জ্যোতিষ মজুমদার, সঙ্কর চন্দ বৈষ্ণব, আসাদুজ্জামান আসাদ, দিপক অধিকারী, অর্পণ তালুকদার, এস এম শামীম,সাজ্জাদ হোসেন, মহিতোষ দাস,প্রনতোষ দাস,মধু সরকার,রনি দাস,ঝুটন সরকার,রাজীব রাজু, হিমকর তালুকদার প্রমুখ।