1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০১:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
মেসির তথ্যচিত্র সম্প্রচার করবে অ্যাপেল টিভি প্লাস সিলেটে দুর্ঘটনায় দিরাই-শান্তিগঞ্জের ১২জন নিহত: বাঁচার অবলম্বন হারালো ১২ শ্রমিকের পরিবার ডিসি খতিয়ানের জায়গায় তৈরি হচ্ছে পৌরসভার মার্কেট : ডিসি জানেন না কিছুই! উচ্ছ্বসিত হাওরের কৃষক: শান্তিগঞ্জে হচ্ছে আঞ্চলিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট আজকের একনেক সভায় ১১,৩৮৭.৯১ কোটি টাকা ব্যয়ের ১৮ প্রকল্পের অনুমোদন দেশে আমদানিকৃত এক হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে সময়টা আমাদের জন্য খুব কঠিন: পরিকল্পনামন্ত্রী আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিরাইয়ের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের রহস্যজনক মৃত্যু! পরিবারের দাবী হত্যা ধর্মপাশা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নব গঠিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময়

লংদুতে আদিবাসী পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ: ১৪৪ ধারা জারি

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ২ জুন, ২০১৭, ৫.১৮ পিএম
  • ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে লংদুদুবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এক মিছিল থেকে পাহাড়িদের অসংখ্য বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর লংগদু উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লংগদু উপজেলা থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক ও স্থানীয় সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন দুইজন যাত্রী নিয়ে দীঘিনালার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু দুপুরের পর দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়। পরে সন্ধ্যায় ফেসবুকে তার লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেন নিহতের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা। শুক্রবার সকালে নয়নের লাশ লংগদুতে তার গ্রামের বাড়ি বাইট্টাপাড়া আনা হয়। সেখান থেকে লংগদুবাসীর ব্যানারে কয়েক হাজার বাঙালির একটি বিশাল শোক মিছিল উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল জানাজার উদ্দেশ্যে। হঠাৎ একই উপজেলার ঝর্ণাটিলা এলাকায় মারফত আলী নামের এক বাঙালির বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে- এমন খবর পেয়ে ওই মিছিল থেকেই প্রধান সড়কের পাশের লংগদু উপজেলা জনসংহতি সমিতির কার্যালয়সহ আশপাশের পাহাড়িদের বাড়িঘরে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও পাহাড়ি অধ্যুষিত তিনটিলা পাড়ায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খ রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও তারাও নিরুপায় হয়ে পড়েন।

পরে উপজেলা পরিষদ মাঠে নয়নের জানাজা ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভায় বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জ্বল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সমঅধিকার নেতা অ্যাডভোকেট আবছার আলী প্রমুখ। এ ছাড়া সেখানে বক্তব্য প্রদানকালে সেনাবাহিনীর লংগদু জোন কমান্ডার লে. কর্নের আ. আলীম চৌধুরী ও লংগদু থানার পুলিশ কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং নয়নের খুনিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।

তিনটিলা এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিশংকর চাকমা বলেন, “আমাদের পাড়ার একটি ঘরও অবশিষ্ট নেই। প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ” তিনি বলেন, “এ হত্যার ঘটনায় তো আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, আমরা তো কিছুই জানি না, তবু কেন আমাদের বাড়িঘর আগুনে পোড়ানো হলো জানি না। ” তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “১৯৮৯ সালে একবার নিঃস্ব হয়েছিলাম আগুনে, আবার নিঃস্ব হলাম। ” তিনিসহ অসংখ্য মানুষ স্থানীয় বনবিহারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

লংগদু উপজেলা সমঅধিকার আন্দোলনের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা লংগদুবাসির ব্যানারে সর্বদলীয়ভাবে নয়নের লাশ গোসল শেষে জানাজার জন্য উপজেলা সদরের মাঠের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ খবর আসে ঝর্ণাটিলায় একটি বাঙালি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর আসায় মিছিলের উত্তেজিত লোকজন জনসংহতি সমিতির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে, পরে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ”

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান জানান, “আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথেই লংগদু উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছি। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় রয়েছে। ”

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে তিনটিলা এলাকায় তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর বিক্ষুদ্ধ বাঙালিরা এই পাড়ায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করেন এবং ওই এলাকার পাহাড়িরা দীর্ঘদিন ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে ছিলেন এবং ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর দেশে ফেরত আসেন।

এদিকে, যুবলীগ নেতা নয়নকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এবং পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। দুপুরে শহরের বনরূপা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপায় এসে সমাবেশ করে। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছাওয়াল উদ্দিন, পৌর যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের,জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা প্রমুখ। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। দ্রুত নয়নের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়।

একই ঘটনার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। শহরের কাঁঠালতলি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বনরূপায় সমাবেশ করে। জেলা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিনিয়র সভাপতি হাবিবুর রহমান, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক নূরজাহান বেগম,তুহিন প্রমুখ। সমাবেশ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নয়নের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!