হাওর ডেস্ক ::
পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ঢাকা-সিলেট রেললাইন প্রকল্পের মধ্যে যে সুনামগঞ্জের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি রয়েছে সে সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। পরিকল্পনামন্ত্রী আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমি ঘটনায় বিস্মিত, দুঃখ প্রকাশ করছি। এ নিয়ে আমি পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাতে খুব বিষ্মিত হয়েছি। মান্নান সাহেবের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ৫০ বছরের। উই হ্যাভ এ ভেরি সলিড রিলেশনশিপ। কিন্তু একটা ছোট ঘটনা নিয়ে এত হৈচৈ!’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট রেললাইন অতি পুরনো। এটা একেবারে রদ্দিমাল। এ জন্য সরকার ঢাকা-সিলেট রেললাইনকে ব্রডগেজ করার একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের ব্যয় বেশি বলে তা স্থগিত হয়ে আছে। রেলমন্ত্রীর সাথে কথা বলে জেনেছি অনেক কারণে এই প্রকল্পের ব্যয় বেশি। এর মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে রেলপথ যাবে বলে গার্ড ওয়াল দিতে হবে। সিলেট এলাকার নদীগুলো খরস্রোতা বলে রেলসেতুগুলো চওড়া ও মজবুত করে নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া সিলেটে ট্রেনের ডিপো করতে হবে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে রেলের এ প্রকল্প ১৬ হাজার কোটি টাকার ছিল। ডিপোসহ বেশ কিছু বিষয় বাদ দিয়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। তখন রেলমন্ত্রী জানালেন সিলেটে যেহেতু ট্রেন শেষ হবে তাই ডিপো লাগবে।’
সুনামগঞ্জের পাঁচ সাংসদের পক্ষে রেলমন্ত্রীর কাজ ডিও লেটার দেওয়ার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি সুনামগঞ্জের আমার পাঁচ সাংসদ সহকর্মী আমার অফিসে আসেন। এ সময় তারা একটি আবেদনপত্র সঙ্গে আনেন। এতে তারা ওই রেলপথ ছাতক পর্যন্ত নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তখন তারা আমাকে জানালেন আমি যদি এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে লিখি তারা খুশি হবেন। তো আর তো কানেক্টিভিটির বড় হোতা। বাহ, কানেক্টিভিটি হলে তো ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। কিন্তু ওখানে যে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আছে তা আমার জানা ছিল না।’
অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বলতে কি বুঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। আই শুড হ্যাভ আসকড মান্নান, দেখো ওরা আসছে। আমি কি করবো? আমি তা করিনি। আমি খুব সরল মনে ডিও পাঠিয়ে দিয়েছি। আর এই ডিও মূল কন্ট্রোভার্সির কারণ।’
এ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর অসন্তোষের প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তার সঙ্গে যে আমার দ্বন্দ্ব লেগে গেল তাতে আমি তাজ্জব। এখানে যে তাদের ইন্টার্নাল পলিটিক্স, আমার কোনো আইডিয়া ছিল না। এজন্য আমি দুঃখিত। আমার সাথে উনার দেখা হবে। আমি এ বিষয়ে উনার সঙ্গে কথা বলব।’