1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

করোনায় জীবন রক্ষাকারী অষুধের সন্ধান

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১, ১০.৪৬ পিএম
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
সস্তা স্টেরয়েড ওষুধ করোনাভাইরাসে মৃত্যু ঠেকাতে পারে, এই আবিষ্কারের ঠিক এক বছর পর গবেষকরা এখন বলছেন, তারা নতুন একটি জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার পথ খুঁজে পেয়েছেন। তবে বেশ ব্যয়বহুল এই চিকিৎসায় রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করার বদলে স্যালাইনের মাধ্যমে শক্তিধর অ্যান্টিবডি মানব দেহের শিরায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যা ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারে।

হাসপাতালের পরীক্ষায় দেখা গেছে, কভিডে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন এতে সেরে উঠেছে। এই চিকিৎসা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত প্রতি ১০০ জন সাধারণ রোগীর মধ্যে ছয় জনের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা হিসেব করে দেখেছেন। তবে যেসব রোগীর দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না শুধু তাদেরই এই চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর খরচ পড়ে ১,০০০ থেকে ২,০০০ ডলার।

সাঁইত্রিশ বছর-বয়সী কিম্বারলি ফেদারস্টোন এই চিকিৎসার মেডিকেল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলছেন: “আমার ভাগ্য ভাল যে করোনা হওয়ার পর আমাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ততদিনে এই পরীক্ষা চালু হয়ে গিয়েছিল। এবং এই যুগান্তকারী পরীক্ষাটিতে আমি অংশ নিতে পেরেছিলাম।”
এই চিকিৎসার নাম মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট। এটি উদ্ভাবন করেছে রিজেনারন নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

এর ওষুধ করোনা ভাইরাসের কোষকে ঘিরে ধরে। এর ফলে দেহের অন্য কোন কোষে করোনাভাইরাস আর সংক্রমিত হতে পারে না এবং সংখ্যায়ও বাড়তে পারে না। ব্রিটেনের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রায় ১০ হাজার করোনা রোগীর ওপর এই চিকিৎসার পরীক্ষা চালানো হয়।

এর ফলাফলে দেখা গেছে:

মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কমেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসার সময়, যা গড়ে চার দিন, সেই সময়ও কমে এসেছে।

ভেন্টিলেটর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাও কমানো সম্ভব হয়েছে।

এই চিকিৎসা পরীক্ষায় যে দু‌’জন নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের একজন হলেন স্যার মার্টিন ল্যানড্রে। তিনি বলছেন: “দুই ধরনের অ্যান্টিবডি মিশিয়ে স্যালাইনের মাধ্যমে শিরায় প্রবেশ করানো হলে কভিড রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা এক পঞ্চমাংশ কমে যায়। হাসপাতালের ট্রায়ালে প্রদাহ-বিরোধী স্টেরয়েড ওষুধ ডেক্সামাথাসোনের পাশাপাশি রোগীদের ওপর নতুন এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়।

এই পরীক্ষার দ্বিতীয় প্রধান গবেষক স্যার পিটার হরবি বলছেন, অ্যান্টিবডি চিকিৎসা আসলে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ কোন কোন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে এটা খুব একটা সুফল বয়ে আনে না। করোনা রোগীদের রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে কভিড চিকিৎসাতেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এই নতুন চিকিৎসার রিকভারি ট্রায়ালে ল্যাবরেটরিতে তৈরি দুটি সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিবডির মিশ্রণ রোগীর দেহে ঢোকানো হয় যেগুলো করোনা ভাইরাসের কোষে আটক যায়।

স্যার পিটার বলছেন: “কভিড-১৯য়ের মারাত্মক অবস্থাতেও রোগী দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে এই চিকিৎসা কার্যকর এটা খুবই খুশির খবর।”

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!