বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেসরকারি ক্লিনিক জেনারেল হাসপাতালে আবারো ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। রবিবার সকালে শহরের নতুনপাড়ার রিপন দে’র নবজাতক পুত্র সন্তান হাসপাতালের ২০৩ নম্বর কেবিনে মারা যায়। এ ঘটনায় হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাক্তার এনামুল হকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করে স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হাসপাতালের ম্যানেজার প্রবোধ কুমার রায় জানান, গত ৯ জুন সন্তান সম্ভবা স্ত্রী যুথি দে কে নিয়ে ভর্তি হন রিপন দে। বুধবার রাতে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। গত ১০ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা হাসপাতালের অতিথি চিকিৎসক ও শিশু রোগ অভিজ্ঞ এনামুল হককে দেখান। তিনি শিশুটিকে ৫০০ এমজি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়েটিক ইনজেকশন দেন।
পরদিন শিশুটির সমস্যা দেখা দিলে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে দেখিয়ে আনেন। এসময় বাচ্চাটিকে সুস্থ সবল আখ্যাযিত করে নতুন করে ব্যবস্থাপত্র দেননি।
এদিকে রবিবার সকালে শিশুটি মারা গেলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা এসময় এনামুল হক খান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেন।
মৃত নবজাতকের চাচা রিপন কুমার দেব জানান, জন্মের পর আমার ভাতিজা স্বাভাবিক ছিল। সে কান্নাকাটি, প্রস্রাব পায়খানা করে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাপে শিশু ডাক্তার এনামুল হককে দেখানোর পর তিনি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়েটিক দেন। পরে শিশুটির সমন্যা দেখা দিলে ও তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক বলে চিকিৎসা দেননি। আজ সকালে আমার ভাতিজা এই ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে।
হাসপাতালের ম্যানেজার প্রবোধ কুমার রায় বলেন, শিশুটির স্বাভাবিক চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক। এখন কি কারণে মারা গেছে আমরা বলতে পারবনা।
ডা. এনামুল হক খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য এর আগে এই হাসপাতালে কাছার ষোলঘরের সন্তান পসব করতে গিয়ে ইকবাল হোসেনের স্ত্রী অপারেশন থিয়েটারে মারা যান। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।
গত বছর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানার নবজাতক সন্তানও মারা যায়। এ ঘটনায়ও বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।