হাওর ডেস্ক ::
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে সাইলো নির্মাণ করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব অঞ্চলে ধান বেশি উৎপাদন হওয়ায় তা সংরক্ষণের বিষয়টি চিন্তায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে যেন বেশি করে সাইলো করা হয়। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা– এসব জায়গায়। এসব জায়গায় প্রচুর ধান হয়, সুতরাং সাইলো যেন নির্মাণ করা হয়।’
মঙ্গলবার একনেক সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রিশটি সাইলো নির্মাণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। একনেকের সভায় ওই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প) প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। জানুয়ারি ২০২১ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদকালের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা।
প্রকল্প অনুযায়ী কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও সদর, ফরিদপুর সদর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, জামালপুরের মেলান্দহ, শেরপুরের শ্রীবর্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নোয়াখালী সদর, কুমিল্লা সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরল, ঠাকুরগাঁও সদর, পঞ্চগড়ের বোদা, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, নওগাঁর শিবপুর, রানীনগর, পাবনার ঈশ্বরদী, বগুড়ার শেরপুর ও নন্দীগ্রাম, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, সিলেটের কানাইঘাট, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, নড়াইল সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, পটুয়াখালী সদর ও কলাপাড়া, ভোলার চরফ্যাশনে সাইলো নির্মাণ হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আরও নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘স্লুইস গেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তি আছে। স্লুইস গেটে আমাদের খরচ হয়, পরে সেটা কাজে লাগে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা ঠিক না। মূল কথা হলো পানির প্রবাহে অস্বাভাবিক কোনও বাধা সৃষ্টি করবেন না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আলু রফতানির জন্য চেষ্টা করতে হবে। কারণ এটা নিয়ে কথা উঠেছিল যে, আমরা আমরা আলু রফতানি শুরু করেছিলাম। আলুতে সমস্যা হওয়ার কারণে বিদেশিরা কিনতে চায়নি।’