হাওর ডেস্ক::
অবরুদ্ধ প্যলেস্টাইনীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্বের সকল মানবতাবাদী নাগরিক ও রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত এক সংহতি সভা থেকে।
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিলিস্তিনীদের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার প্রতি সর্বস্তরের নাগরিকদের সমর্থন প্রকাশ করে এক সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্দলীয় ভিত্তিতে জাতীয় আবেদন নিয়ে আয়োজিত এই সংহতি সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট নাগরিকগন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতিক ও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট মিডিয়া সংগঠক মজিবুর রহমান মন্জু।
করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য সতর্কতার কারণে অতিথিদের কেউ কেউ সশরীরে এবং বাকীরা ভিডিও বার্তায় তাদের সংহতি জানান।
সভায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির আহ্বায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ড. সুকোমল বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু, ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, কবি ও শিল্পী মুহিব খান, ব্যারিস্টার মেজর (অব.) সরোয়ার হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপি’র চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল হক, ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিষ্টার জুবায়ের আহমেদ ভুইয়া, বিএম নাজমুল হক, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
ভিডিও বার্তায় সভায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল (অব.) নুরুদ্দিন খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, শিক্ষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সামরিক বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও সঙ্গীত শিল্পী হায়দার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইসরায়েল কত ভয়ংকর তা আমরা দেখেছি ষাটের দশকে। আমি ১৯৬৯ সালে ইসরায়েল ভ্রমণে দেখেছি কিভাবে তারা নাগরিকদের ট্রেনিং দেয়। সেখানে ন্যায় নীতির কোনো বিষয় নাই, দখল করাই মুখ্য। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইসরায়েল কখনো এখানে আসতে পারেনি আজ তারা অনুপ্রবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিবাদ করার জন্য কিন্তু শুধু ধন্যবাদ জানালেই হবেনা ফিলিস্তিনীদের অর্থ ও সামরিক সাহায্য দিতে হবে। কুটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আজ রোজিনা জেলে, তার জামিন হচ্ছে না। ৫৮ ছাত্র জেলে এদের জামিন হচ্ছে না। বিচারকদের ভূমিকাও লজ্জাজনক। এসব কিছু থেকে বাঁচার জন্য একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ইংগিত করে বলেন, শুধু তাহাজ্জুদ পড়লে হবেনা মানুষের মনের কথা বুঝতে হবে। তিনি অবরুদ্ধ প্যলেস্টাইনীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্বের সকল মানবতাবাদী নাগরিক ও রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান।