তমাল পোদ্দার, ছাতকঃ
দোয়ারাবাজারে ইফতারির সাথে নেশা দ্রব্য খাইয়ে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষক রিপন মিয়াসহ আরো দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া একই ইউনিয়নের বোগলা গ্রামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ফুফাতো ভাই ফয়সালের (১২) মাধ্যমে বাংলাবাজার ইউনিয়নের উরুরগাঁও গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে নেশার ওষুধ কিনে ওই মেয়ের বাড়িতে ইফতারি পাঠায়। নেশা দ্রব্য মেশানো ইফতারি খাওয়ার পর মেয়ে এবং তার দাদা অজ্ঞান হয়ে গেলে মধ্যরাতে রিপন ওই বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে। ভোররাতে ঘুম ভাঙলে বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করে তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ধর্ষক রিপনসহ তার ফুফাতো ভাই এবং নেশা বিক্রেতা জসিম উদ্দিনকে আটক করে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত জামাকাপড়সহ ইফতার সামগ্রী ও একটি ছুড়ি উদ্ধার করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা বাবা কেউ বেচে নেই। এতিম এই মেয়েটি একমাত্র বৃদ্ধ দাদার আশ্রয়ে থাকে। এই সুযোগে ধর্ষক রিপন তার এক ফুফাতো ভাই এর মাধ্যমে ইফতারির খাবারের সাথে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান করে মধ্যরাতে ধর্ষণ করেছে। স্থানীয়রা জানান ধর্ষক রিপন এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চুরি, চোরাকারবারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। দোয়ারাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান ধর্ষকসহ আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে নেশা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞান পার্টির সাথে ও জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সে অজ্ঞান পার্টির বড়ো ধরণের হোতা।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম ৩ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।