হাওর ডেস্ক ::
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী রাজাকার-আলবদরদের তালিকা তৈরি করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকের এই কাজের সমন্বয়ের জন্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে আহ্বায়ক করে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শাজাহান খান। বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এবি তাজুল ইসলাম ও মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, রাজাকার-আলবদরদের তথ্য যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপ-কমিটির সদস্যরা তালিকা তৈরির কাজে সমন্বয় করবেন। আহ্বায়ক ছাড়াও উপ-কমিটিতে সদস্য আছেন- রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, এবি তাজুল ইসলাম, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয় না। ভিয়েতনামে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত চাকরি দেওয়া বন্ধ। অথচ আমরা মন্ত্রীও বানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা যাতে সরকারি চাকরি না পায় সে বিষয়ে কিছু একটা করা দরকার। সেজন্য রাজাকারদের তালিকাটা দরকার। এই কাজটা এবার সংসদীয় কমিটি করবে। তালিকা তৈরির জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কাজে সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধার নামের আগে ‘বীর’ লেখার সুপারিশ : কমিটির বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে, ‘বীর’ শব্দটি লেখার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে বীর শব্দ লিখতে হবে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করবে।
এ ছাড়া বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার ২৪টি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য শহীদদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সহধর্মিণী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।