দিরাই প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জলমহাল দখল নিয়ে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদককে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। সোমবার দুপুরে স্থানীয় থানা পয়েন্টে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিরপরাধ জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছাব উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়ার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ, সিরাজ উদ দৌলা তালুকদার, পেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট অভিরাম তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ, রেজুয়ার খান, শাহজাহান কাজী, যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়, মোহন চৌধুরী, কৃষকলীগের আহবায়ক তাজুল ইসলাম, শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কাসেম, ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য গণ মাধ্যম কর্মীদের সরবরাহ করা হয়।
এতে উল্যেখ করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একরারা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য দিরাই হতে অস্ত্র দেয়া হয়েছিলো। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় এই জলমহালের আইন শৃংখলা নিয়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় র্যাব দিয়ে এলাকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করারা কিন্তু তা করা হয়নি। অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে এমন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতোনা।
উল্লেখ্য গত ১৭ জানয়ারী উপজেলা ঘোড়ামার সাতপাকিয়া প্রকাশিত জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে জলমহালের ইজারাদার দক্ষিন নাগেরগাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাথে একরার বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিরীহ লোক নিহত হয়। ১৯ জানুয়ারী ইজারাদার ধনঞ্জয় দাস বাদী হয়ে একরার হোসেনসহ ২৯জনকে আসামী করে এবং একরার হোসেনর বাদী হয়ে দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল মিয়াসহ ৩৯জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।