1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

সারা বাংলায় ১ম হলেও চাকুরি দেয়নি পাকিস্তানীরা, ৭২-এ বঙ্গবন্ধু চাকুরি দেন এমএ মান্নানকে

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭, ৯.৩৫ এএম
  • ৫৬০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
১৯৭০ সালে পরীক্ষা দিয়ে সারাদেশে প্রথম স্থান লাভ করলেও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানকে চাকুরি দেয়নি পাকিস্তান সরকার। বরং বাঙ্গালি হওয়ার কারণে চাকুরি দিতে কেবল ঠালবাহানাই করেনি মানসিকভাবে নির্যাতনও করেছে। স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ১৯৭৪ সনে একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে এমএ মান্নানকে চাকুরি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হাত থেকেই নিয়োগপত্র পেয়ে তিনি তার নেতৃত্বে কাজ শুরু করেন। এমএ মান্নানের চাকুরি জীবনের এই বঞ্চনা এবং জাতির জনক কতৃক চাকুরিদানের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তোফায়েল আহমদ জানেন। এমএ মান্নান যখন ১৯৭২ সনে চাকুরির জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তখন ছাত্রনেতা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ও বর্তমান স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর পিতা রফিকুল্লাহ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
এমএ মান্নান তার চাকুরিজীবনের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে জানান, ‘ সুনামগঞ্জ মহুকমা থেকে আমি বৃত্তি পেয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাকিস্তানে গিয়েছিলাম। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ৪ বছর লেখাপড়ার জন্য পাকিস্তানে ছিলাম। সুনামগঞ্জ মহুকমা থেকে পরীক্ষা দিয়ে একমাত্র ছাত্র হিসেবে আমি সেই সুযোগ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে দেশে ফিরে ১৯৭০ সালে আমিসহ সারা দেশের অনেকেই চাকুরির জন্য আবেদন করেছিলাম। পরীক্ষার মাধ্যমে সারা দেশের মধ্যে আমি ১ম স্থান লাভ করেছিলাম। ১৯৭০ সনে আমরা যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিলাম পাকিস্তান সরকার আমাদের কাউকেই চাকুরি দেয়নি, বাঙ্গালি হওয়ার অপরাধে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাড়িতে এসে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছি। এখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই আমার অবস্থান সম্পর্কে জানেন।
প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান আরও বলেন,‘ ১৯৭২ সালের ২৮ শে জানুয়ারি আমরা যে ৬০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিলাম তারা সবাই আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমাকে দেখা করে আমাদের চাকুরি বিষয়ে কথা বলার জন্য সিদ্ধান্ত নিলো। আমি সাহস নিয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষা করে, রাত ১১টায় আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বাসায় প্রবেশের অনুমতি পাই। ভেতরে প্রবেশ করে দেখি বঙ্গবন্ধুর পিএস বর্তমান সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শীরিন শারমিন চৌধুরীর পিতা রফিক উল্লাহ চৌধুরীর সাথে দেখা হয়। তিনি আমাকে বসতে বলেন। কিছুক্ষণ পরে আমাকে তিনি বলেন, উপরের তলায় যাওয়ার জন্য, বঙ্গবন্ধু আমাকে ডেকেছেন। আমি তখন, সেই কাঠের সিঁড়ি বেয়ে দু’তলায় উঠি। ছোট্ট একটি কক্ষে তখন বঙ্গবন্ধু থাকতেন। আমি সেই কক্ষে প্রবেশ করে দেখি, আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পাশে বতর্মান বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ও অন্য পাশে ছিলেন মরহুম শ্রমিক নেতা (নোয়াখালী বাড়ি) নুরুল হক। বঙ্গবন্ধু আমাকে দেখে বললেন, ‘কি তুমি কিসের জন্য এসেছ? আমি তখন বললাম স্যার আমি গ্রামের এক গরিব পিতার সন্তান, আমি সহ অনেকেই চাকুরির জন্য ৭০ সালে পরীক্ষা দিয়ে ৬০ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। বাঙ্গালি হওয়ায় পাকিস্তানী সরকার আমাদের আমাদের চাকুরি দেয়নি। তখন আমাদের বঙ্গবন্ধু আমার কথা শুনে, সাথে-সাথেই বললেন, তোমাদের মত শিক্ষিত ছেলেরাই আমার এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জন্য দরকার। যাও আমি দেখছি কি করা যায়। কোন চিন্তা করো না। তোমাদের চাকরি হয়ে যাবে।
পরে ১৯৭৪ সালে আমাদের চাকুরি হয়। জাতির জনকের হাত ধরেই তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের কাজে তার নেতৃত্বে কাজ শুরু করি। আজ পর্যন্ত তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। তিনি বলেন, আমি যে এসব বলছি তার সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে। তাই যারা পাকিস্তান সরকারের অধীনে আমি চাকুরি করেছি বলে মিথ্যাচার করছে তাদেরকে আমি এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান আরও বলেন,‘যারা সুনামগঞ্জে বসে-বসে মানুষকে মিথ্যা বলছে, আমি নাকি সুনামগঞ্জে একটি ইটও লাগাই নি। তারা কি জানে না বিগত ৮ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার সুনামগঞ্জে জন্য কত উন্নয়ন করেছে। এই সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে ১৪টি সেতু নির্মাণ করেছি। আমরা ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুশিয়ারা নদীর উপর রানীগঞ্জ সেতু নির্মাণ করছি। সুনামগঞ্জ সুরমা সেতুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেছি। ছাতকে সুরমা সেতু একনেকে অনুমোদন করিয়েছি। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলে একনেকে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়েছি। বিষোদগারকারী ও মিথু্যুকদের উদ্দেশ্যে এই সজ্জন রাজনীতিক বলেন, আমি নিজের নামে কোন প্রতিষ্ঠান করিনি। আমি, ইট-বালু-পাথর-জলমহাল খেতে রাজনীতিতে আসিনি। আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম নির্বাচিত হলে আপনাদের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করবো। আমি সেই কথাই রাখার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষারসহ সেই চাকুরির নিয়োগপত্রের সেই কাগজ আমার কাছে আছে ও সরকারের কাছে আছে। আর মতিউর বলে, আমার চাকুরি না কি জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন? এটা জগন্য মিথ্যাচার। দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার সেই কাগজপত্র আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন, আমি কেমন মানুষ, আমি সরকারের টাকা লুটে-পুটে খাচ্ছি না দেশের উন্নয়ন করছি?
তিনি আরো বলেন,‘ আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের সেবা করার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। আমার আর কোন সম্পত্তির প্রয়োজন নাই। আমি আপনাদের ভালবাসা নিয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটিয়ে যাবো।’
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে গত শনিবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মেম্বার ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমএ মান্নান এসব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ঘন্টা ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন এমএ মান্নান। হাজারো জনতা তার সেই বক্তব্য তম্ময় হয়ে শুনেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!