1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ: বাঙালি নিধনে মেতে ওঠে হানাদার বাহিনী দেশের পোল্ট্রি খাতে হরিলুট: ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে করপোরেট কম্পানি আগামী নির্বাচন সুন্দর হবে, দোষারোপ করে লাভ নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী অগ্নিকান্ডে কয়লা ব্যবসায়ীর বসতঘর ছাই টাঙ্গুয়ার হাওরে বজ্রপাতে জেলে নিহত ছাতকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আদায় শাল্লায় হাওর বাঁচাও আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচার সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জামালগঞ্জে চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্রদান নিয়ে প্রেস কনফারেন্স স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: এমপি মানিক শাল্লায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেস ব্রিফিং

দেশের নিম্ন আয়ের ১৪ শতাংশ মানুষের ঘরে খাবার নেই: ব্র্যাক

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০, ৯.১৪ এএম
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকার পরামর্শ মানতে গিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশ। ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই।

দেশের ৬৪ জেলায় ২ হাজার ৬৭৫ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের চালানো এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত ৩১শে মার্চ থেকে ৫ই এপ্রিলের মধ্যে জরিপটি পরিচালিত হয়। করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যগত দিকগুলো সম্পর্কে নিম্ন আয়ের মানুষের উপলব্ধি এবং এর অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে ধারণা পেতে এই জরিপ চালায় ব্র্যাক।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় “কী কী ব্যবস্থা অবলম্বনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করা সম্ভব সে বিষয়েও ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতার পরিষ্কার ধারণা নেই। এমন কী করোনা সংক্রমণের লক্ষণ (জ্বর কাশি শ্বাসকষ্ট) দেখা দিলে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি চলে না আসার যে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও ধারণা নেই অধিকাংশের।”

জরিপের ফলাফল তুলে দিয়ে বলা হয়, “শতকরা ৫৩ জন উত্তরদাতা বলেছেন প্রতিবেশীর এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে শহরের হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন। মাত্র ২৯ শতাংশ হেল্পলাইনে ফোন করার কথা বলেছেন।”

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পদক্ষেপের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ জীবিকার দিক থেকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জরিপের ফলাফল থেকে বেরিয়ে আসে।

সেখানে বলা হয়, “এর ফলে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৯% চরম দরিদ্রে পরিণত হয়েছেন অর্থাৎ দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে নেমে গেছেন। করোনাভাইরাসের পূর্বে আয়ের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪% শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার নিম্নসীমার নিচে এবং ৩৫% শতাংশ ছিলেন দারিদ্র্যরেখার ঊর্ধ্বসীমার নিচে। এতে বোঝা যায় চরমদারিদ্র্য আগের তুলনায় বর্তমানে ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা মহামারির আগে জরিপে অংশ নেয়া ২,৬৭৫ জনের গড় আয় ছিল ১৪,৫৯৯ টাকা। যাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ জানিয়েছে এই করোনা প্রাদুর্ভাবের পর তাদের আয় কমেছে। মার্চ ২০২০ এ এসে তাদের গড় আয় দাঁড়িয়েছে ৩,৭৪২ টাকায়, অর্থাৎ তাদের পারিবারিক আয় ৭৫ শতাংশের মতো কমে এসেছে। চট্টগ্রাম (৮৪%), রংপুর (৮১%) এবং সিলেট বিভাগের (৮০%) মানুষের আয় কমেছে সবচেয়ে বেশি।”

সরকারি ছুটি বা সামাজিক দূরত্বের কারণে ৭২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন অথবা তাদের কাজ কমে গেছে বলে জরিপের ফলাফলে বেরিয়ে আসে। ৮ শতাংশ মানুষের কাজ থাকলেও এখনও বেতন পাননি বলে ব্র্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!