1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কোটা আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের পরিবার পেল সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের সঙ্গে সরকার পতনের আলোচনা হয় ভিপি নুরের! শিক্ষিত প্রজন্মের কাছে আমরা সম্মান চাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী এমপি এভাবে রাষ্ট্রের ধ্বংস মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী আন্দালিব রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে কোটা আন্দোলন সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের গবেষক দীপংকর মোহান্ত সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে সুপার হয়ে আসায় কবি লেখকদের ফুলেল শুভেচ্ছা সুনামগঞ্জে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শীথিল সিলেটসহ ১১ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

ফেইসবুকে ৮ ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করার পরামর্শ পুলিশের

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬, ৫.৩৭ পিএম
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেক্স::

নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যক্তিগত ৮টি তথ্য শেয়ার না করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার ডিএমপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই আহ্বান জানিয়ে এ ব্যাপারে দেশের জনগণকে সচেতন হওয়ার কথা বলা হয়।

ফেসবুকে ডিএমপির পোষ্টে লেখা হয়-

ফেসবুক ব্যবহারে অসচেতনতায় আমরা প্রায়শই নিজেরাই নিজেদের অনিরাপদ করছি। লোকেশন ট্যাগ সহ নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি অপরাধিদের সহজলভ্য করে দেই। অপরাধীরা এসব তথ্য ব্যবহার করে খুব সহজেই বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালিত করে। একারনে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যদি সবাই সচেতনভাবে ফেসবুক ব্যবহার করি তাহলে অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো এড়ানো সম্ভব।

৮টি বিষয়ে সচেতন থাকলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন।

১. আপনার জন্ম তারিখ :
অনেকেই নিজের জন্ম তারিখ ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। এটি আপনার জন্য অনিরাপদ। কারণ তথ্য প্রযুক্তির যুগে জন্ম তারিখ থেকেই অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন হ্যাকারা। অথবা যেকোনো শত্রু এই বিশেষ দিনে টার্গেট করে আপনার ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই ফেসবুকে জন্মতারিখ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

২. আপনার শিশু কোথায় পড়াশুনা করে? :
গত কয়েক বছরের যৌন ও শিশু বিষয়ক অপরাধগুলো গবেষণা করে ইংল্যান্ডের শিশু বিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসি জানান, অধিকাংশ অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অসচেতন ছিলেন। এজন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো ঘটেছে।
অথচ অনেক অভিভাবক শিশুদের নিয়ে অবেগাপ্লুত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সেইসঙ্গে স্ট্যাটাসে জানিয়ে দেন, তার শিশু কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এটি শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। এতে শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।

৩. আপনার শিশুর ছবি :
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য পাবলিকের কাছে শেয়ার করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যদিও অনেকেই শিশুদের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, শত্রুরা আপানার শিশুকে চিনে রাখলো। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করলো।’

৪. বর্তমান অবস্থান :
যেখানে সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন ট্যাগ করে দেওয়াটা অনিরাপদ। এর মাধ্যমে যে কেউ আপনার সবশেষ অবস্থান জানতে পারে। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। দেখা গেল, আপনার অবস্থান জেনেই শত্রুপক্ষ আপনার ওপর হামলা করলো।

৫. কখন এবং কোথায় যাচ্ছি? :
দেখা যায়, আমরা কখন, কোথায় যাচ্ছি কিংবা ভ্রমণে বের হচ্ছি সে বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়ে দিই। যা মোটেও নিরাপদ নয়। এই বিষয়গুলো জেনে আপনার প্রতিপক্ষ ক্ষতি করতে পারে। হয়তো শত্রুপক্ষ আপনার এমন তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলো। সেটি জেনে আপনার ওপর হামলা করতে পারে। ফেসবুকে এসব বিষয়ের জানান দেওয়া নিজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

৬. নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করা
অনেক সময় ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময় আপনার প্রোফাইল যে ভিজিট করবে, সে জানতে পারবে এখন আপনি কোথায় আছেন। সেটি বাসায় কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল, এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখলো। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি করলো। আর এ জন্য ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ করা মোটেও নিরাপদ নয়।

৭. ফোন বা মোবাইল নম্বর :
অনেকেই মোবাইল কিংবা ফোন নাম্বার ফেসবুকে উন্মুক্ত করে রাখেন। যা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। দেখা গেলো, শত্রুপক্ষ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে এবং সুযোগ বুঝে কাজ করে। পাশাপাশি যে কেউ আপনার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, সময়ে অসময়ে কল দিয়ে বিরক্ত করার সুযোগ পায়। মোবাইল বা ফোন নম্বর ব্যক্তিগত গোপনীয় জিনিস। পরিচিত ব্যক্তিদের ছাড়া কাউকে ফোন কিংবা মোবাইল নম্বর দেওয়া নিরাপদ নয়।

৮. ক্রেডিট কার্ডের তথ্য :
ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে গোপন ও স্পর্শকাতর বিষয়। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট বুঝেই দিতে হবে। যাতে আপনার দেওয়া তথ্য তাদের কাছে সুরক্ষিত থাকে।

আর দেরি নয়। সচেতন হবার এখনই সময়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!