তাহিরপুর প্রতিনিধি
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তার নির্বাচনী এলাকা জামালগঞ্জ, ধরমপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে আগাম ব্যাপক প্রচারনা চালান স্থানীয় নেতা কর্মীরা। যার ফলে তাহিরপুরের বাদাঘাটসহ উল্লেখিত স্থানগুলোতে ত্রাণ প্রত্যাশী ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে।
রবিবার দুপুর ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি তাহিরপুর উপজেলা সদরে ত্রাণ বিতরণ করে দুপুর সোয়া একটায় উপজেলার অন্যতম বাণ্যিজিক কেন্দ্র বাদাঘাটে আসেন ত্রাণ বিতরণ করতে। প্রথমে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান। সেখানে ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের ভিড় সামলাতে না পেরে ত্রাণ নিতে আসা লোকদের বাদাঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যেতে বলেন নেতা কর্মীরা।
সরেজমিনে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় চার শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুরা লাইন করে দাঁড়িয়ে আছে ত্রাণের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ পর এমপি রতন স্কুল মাঠে এসে কয়েকজনকে ত্রাণ দিয়ে দ্রুত চলে যান। এরপর ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের মধ্যে শুরু হয় ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় এমপির সাথে থাকা স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে দ্রুত স্কুলমাঠ দ্রুত ত্যাগ করতে দেখা গেছে। অনেক মহিলাই এসময় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ত্রাণ দিতে পারবেননা তাহলে এখানে এনে লাইনে দাঁড় করালেন কেন?। এসময় প্রায় ৩ শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুকে ত্রাণ না পেয়ে খালি হাতে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
তবে স্থানীয় সচেতন লোকজন মানুষ বলেছেন, আগ থেকে প্রচারণা চালিয়ে ও ঘোষনা দিয়ে ত্রাণের ব্যবস্থা করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এমপিকে না জানিয়েই তার অতিউৎসাহী নেতাকর্মীরা একদিন আগ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন পত্রিকায় ত্রাণ দেওয়ার প্রচারণা চালানোয় এমন লোক সমাগম ঘটেছে। যার ফলে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছেন। না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরেও গেছেন।