হাওর ডেস্ক::
করোনাভাইরাসে কমিউনিটিতে কান্নার আকাশ আরো ভারী হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকই সুস্থ হচ্ছেন খবরটি অনেকটাই যেমন স্বস্তির তেমনি মৃত্যুর মিছিলেও যোগ হচ্ছে অনেকেই। যদিও আশঙ্কাজনক অবস্থায় কমিউনিটির চেনা জানা প্রায় ২০ জনের অসুস্থতার সংবাদ নিয়ে সবাই বেশ উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ও আলিফ তালুকদারের। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন বাংলাদেশি। এছাড়া সাংবাদিক ফরিদ আলম এবং ইলিয়াস খসরু সহ বেশ কয়েকজনের সুস্থ হয়ে উঠার সংবাদে কমিউনিটির লোকজন আশাবাদী হয়েছেন।
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এর মধ্যে রাজ্য গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাদের হাতে আর মাত্র ছয়দিনের ভেন্টিলেশন দেয়ার সরঞ্জাম মওজুদ আছে। আতঙ্কের এ সংবাদের মধ্যে ফেডারেল সরকার থেকে দ্রুত চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবাহ না বাড়ানো হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
এর মধ্যে নিউইয়র্ক নগরীতে কার্ডিয়াক এরেস্টের জন্য রোগীকে প্যরামেডিকরা অন্য দ্যা স্পট ফেরাতে না পারলে হাসপাতালে না আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন হাসপাতালেই নিয়মিত রোগীদের জন্য কোন ঠাঁই নেই। আগে কার্ডিয়াক এরেস্ট বা হার্ট অ্যাটাক রোগীদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর ডাক্তাররা শেষ চেষ্টা করতেন রোগীকে বাঁচানোর জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে স্থান না থাকার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়ায় নাগরিকদের মধ্যে আরও উৎকণ্ঠা বেড়েছে।
এর মধ্যে নিউইয়র্ক থেকে মিশিগানে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউন কড়াকড়ি করা হয়েছে। রাজ্য গভর্নর লক ডাউনের নীতিমালা ভঙ্গ করলে এক হাজার ডলার জরিমানা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
নিউইয়র্কে ২৪ ঘণ্টায় ৪৩২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২৩হাজার ৭৩ জন। এ সংখ্যা বাড়ছে। নগরীর ঘনবসতি এলাকাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী। নগরীর একজন চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, আমাদের পরিবারগুলো এখনো পুরো কোরাইন্টাইন ব্যবস্থা মেনে চলছেন না। অনেকে নিজেই জানেন না , তিনি ভাইরাস বহন করছেন। অনেকের শরীরে এ ভাইরাসের লক্ষণ তীব্র নয়। কিন্তু তাঁর মাধ্যমে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশী ডায়বেটিক রোগী। ডায়বেটিক ও এজমা রোগীদের বেশী করে কাবু করছে ভাইরাসটি। নগরীর মেয়র নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা, এমনকি ঘড়ে তৈরী মাস্ক পরে প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার জন্য নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত নিউইয়র্কে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ জনের। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৫৫ জন।যেখানে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ১৭ বাংলাদেশিসহ মোট ৫৩ জন এই ভাইরাসে মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৪ জন।