1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন

কোদাল দিয়ে ছাত্রী পেটানো অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪.৩৮ পিএম
  • ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক কলেজের দুই ছাত্রীকে কোদাল দিয়ে পেটানোর ঘটনায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জয়নগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। রবিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে জয়নগর বাজারে এসে প্রতিবাদসভার মাধ্যমে শেষ হয়। ক্ষুব্দ শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কলেজ বাচাতে অবিলম্বে তাদের অপসারণের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদসভায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন নিজের ইচ্ছেমতো পরিচালনা কমিটি করে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে কলেজ পরিচালনা করছেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভিন। নিজের ইচ্ছেমতো অসচেতন পরিবারের লোকদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি করে কার্যক্রম চালান তিনি। এলাকার কয়েকটি বিত্তশালী ও প্রভাবশালী পরিবারের সহায়তায় কলেজকে ধ্বংসের ধ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন অধ্যক্ষ। কলেজে নিয়মবহির্ভূত ফিস আদায় করে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মিলে টাকা আতœসাত করছেন। শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাদের বদলি করে দেয়া হচ্ছে। ছাত্ররা অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হয় এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হচ্ছে। যার ফলে কলেজের চেইন অব কমা- ভেঙ্গে ফলাফল দিনদিন খারাপ হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ তার ভাই, ভাবীসহ কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত আতœীয় স্বজনদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন। এভাবে অনিয়মের মাধ্যমে কলেজকে ধ্ববংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। এই প্রতিবাদ করায় ইতোমধ্যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মঈনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে মিছিল করিয়েছিলেন। ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও স্লোগান দিয়েছিল অধ্যক্ষের লোকজন। প্রতিষ্ঠাতা মঈনুল হক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং তিনি সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি। অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আলোচনায় আসেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কলেজের ছাত্র রবিন, আফসানা বেগম, সাবিনা আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত শনিবার কলেজের এইচএসসি দ্বীতীয় বর্ষের অকৃতকার্য দুই ছাত্রী শাখাইতি গ্রামের তাসলিমা খানম ও মাগুরা গ্রামের নাঈমা আক্তার নির্বাচনী পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার জন্য তার পা ধরে অনুরোধ জানান। অধ্যক্ষ তাদের প্রথমে লাত্তি দিয়ে ফেলে দেন। পরে কোদালের হাতল দিয়ে বেধড়ক পেটান।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!