স্টাফ রিপোর্টার::
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জেলা আ.লীগের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট ও আ.লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আয়ূব বখত জগলুলসহ আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেছেন। এ ঘটনাটি বর্তমানে সুনামগঞ্জে আ.লীগের রাজনীতিতে টক অফ দি টাউনে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি মতিউর রহমান আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজ থেকেই আলহাজ্ব নূরুল হুদা মুকুটের সঙ্গে নির্বাচনী কাজ করছেন। বৃহষ্পতিবার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিজয়ের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করার বিষয়টি এখন স্থানীয় রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে শুক্রবার রাতে সংঘবদ্ধ হয়ে মতিউর রহমান রহমান নূরুল হুদা মুকুট, আয়ূব বখত জগলুল, উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, যুবলীগ সভাপতি খায়রুল হুদা চপলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাত ১২টা ১ মিনিটে বিজয়ের প্রথম প্রহরে তিনি তাদেরকে নিয়ে শহীদ স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন। এসময় নেতাকর্মীরা মতিউর রহমান, নূরুল হুদা মুকুট এবং আয়ূব বখ জগলুলের পক্ষে স্লোগান দেন। কোন মতে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করার পরই অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রথাম বারের মতো মতিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে বাদ দিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় আলহাজ্ব মতিউর রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতা হোসেন আহমদ রাসেল, খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন শেষে মতিউর-মুকুট-জগলুলকে নিয়ে মিছিল দিয়ে চলে আসেন।