স্টাফ রিপোর্টার::
টানা ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীসহ সীমান্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় সুনামগঞ্জের নি¤œাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার লালপুর, রাধানগর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন উপজেলাবাসী। দোয়ারাবাজারও প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে পরিস্থিতি পর্যব্ক্ষেণের জন্য প্রতি উপজেলায় কন্ট্রোল রোম খোলা হয়েছে। তাছাড়া বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। গতকাল বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করে মাঠ প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। বৈঠক সূত্র জানা গেছে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৩ লক্ষ টাকা, ২০০ মে.টন চাল এবং ৩ হাজার ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, ঢল ও বর্ষণে নদ নদীর পানি বাড়ছে। সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি সন্ধ্যায় বিপদসীমার ৬০ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলে জানান তিনি।