1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা ছড়ারপাড়ে ছু রি কা ঘা তে প্রাণ গেল এক কিশোরের সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৪টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৬৪ জন প্রার্থী বিদ্যুৎ সংকটে অতিষ্ঠ মফস্বল ও গ্রামীণ জনজীবন, বিতরণে বৈষম্য যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে বনানীতে সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা ,যানজট শনিবার থেকে বন্ধ থাকবে যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকালেই মুন্সীগঞ্জের সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস,পাশাপাশি হতে পারে শিলাবৃষ্টিও সামর্থ্যের চেয়েও বেশি দিচ্ছেন তাসকিনরা, খুশি অধিনায়ক টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের হেলিকপ্টারে আগুন, কেমন আছেন দেব?

রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় মুসলিম বিশ্বের সহায়তা চাইলে শেখ হাসিনা

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১ জুন, ২০১৯, ৩.০৭ পিএম
  • ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিকূল অর্থনৈতিক, প্রতিবেশ ও নিরাপত্তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো লক্ষে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা রুজুর বিষয়েও মুসলিম বিশ্বের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক, প্রতিবেশ এবং নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী এই বিশ্বে ওআইসিকে এইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার পবিত্র মক্কা নগরীতে ১৪ তম ওআইসি সম্মেলনে এশীয় গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন। সম্মেলনের এবারের শিরোনাম ‘মক্কা আল মোকাররমা শীর্ষসম্মেলন: ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে’।
তিনি বলেন, ওআইসির নিজস্ব সমস্যাগুলো মোকাবেলার সক্ষমতা থাকা উচিত। কেননা এটির বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ কৌশলগত সম্পদ এবং এর সিংহভাগ তরুণ-যুবক রয়েছে। এর মাধ্যমেই জবাবদিহিতা এবং ন্যায় বিচারের প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পথ তৈরি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রক্রিয়াকে এতদূর এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই মামলা রুজুর বিষয়ে স্বেচ্ছা তহবিল সংগ্রহ এবং কারিগরি সহযোগিতার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ বোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় প্রদান করেছে। কিন্তু তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন এখনো অনিশ্চিত। কেননা উত্তর রাখাইন রাজ্যে এসব রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন তা সৃষ্টিতে মিয়ানমার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ধারবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেভাবে বাংলাদেশ করেছে, আসুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সে ধরনেরই একটি জিরো টলারোন্স নীতি গ্রহণ করি, সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের দলকে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং উগ্রপন্থা বাস্তবায়নে বাধা দেই এবং জোটবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাই।
ফিলিস্তীন সমস্যা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওআইসি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরে পাওয়া, মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জনগণের মধ্যে একতা এবং সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আস্থাশীল ছিল। কিন্তু ৭ দশক কেটে গেছে। ফিলিস্তিনিদের সমস্যার আজো সমাধান হয়নি এবং আমাদের জাতি এবং সম্প্রদায়গুলো এখন পর্যন্ত দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম একদা অন্ধকার বিশ্বে আলোক বর্তিকা নিয়ে এসেছিল কেবলমাত্র ভূলভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য তা আজ ভূলপথে সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থার নীতি নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
শ্রীলংকার বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা হামলা এবং নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুটি ঘটনাতেই শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানূভুতি এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা শ্রীলংকার সন্ত্রাসী হামলার নিন্দাও জানিয়েছি, যেখানে আমার এক নাতি ৮ বছরের শিশু শেখ জায়ান নিহত হয়।
শেখ হাসিনা এ সময় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফরম মাইগ্রেশন)-এর উপ-মহাপরিচালক পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থী অভিভাষণ বিশেষজ্ঞ পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হককে তাদের মূল্যবান সমর্থন দানের অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। মুসলিম বিশ্বকে একটি শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তোলায় তার দূরদর্শিতা, সহনশীলতা এবং সমমর্মিতা আজ অবদি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)-কে বাংলাদেশ যেভাবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলছে তাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রতি আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ধারণার সন্নিবেশন এবং উদ্ভাবনকে বিক্রয়যোগ্য পণ্য এবং সেবায় পরিণত করাই আজকের ইসলামী বিশ্বের প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!