1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা থামছে না

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৯.৩৫ এএম
  • ৭০০ বার পড়া হয়েছে

আরিফ বাদশাঃ
প্রতিদিনই খবরের কাগজে কিংবা টিভি চ্যানেলে চোখ রাখলেই দেখি আমাদের দেশের কোনো না কোনো সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে  কোনো এক বাংলাদেশি  নাগরিকের মৃত্যু এমন শিরোনাম। এটা প্রায়শই ঘটছে। কিন্তু এক নগন্য বিষয় যে, বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এর গুলিতে কোনো ভারতীয় নাগরিককে হত্যা হতে শুনিনি কখনো। সত্যি এটা  অবাক করার মতো একটা বিষয়। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ এর হাতে সীমান্তে যত বাংলাদেশী হত্যা হয়, পৃথিবীর আর কোনো দেশের সীমা-রক্ষীরা তাদের পাশ্ববর্তী দেশের এত মানুষকে হত্যা করে না। প্রতিবছর প্রায় শত শত  নিরীহ বাঙ্গালী বিএসএফ এর গুলিতে প্রাণ হারায়।  গত জুলাই মাসে নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা শুন্যের কোটায় কমিয়ে আনার বৈঠক হলেও এতে কার্যকর কোন ফল পাওয়া যায়নি। প্রতিনিয়ত হত্যাকান্ড বাড়ছেই।
এিসএফ সীমান্তে বাংলাদেশিদের প্রতি শত্রুর মতো আচরন করে। কখনো গুলি করে হত্যা করে, আবার ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। সীমান্ত হত্যার পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই ১৫ বছরে দেশের ১০৫২ জন নিরীহ বাঙ্গালিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যানের মধ্যে- ২০১১ সালে হত্যার শিকার হন ৩১ জন। ২০১২ সালে হত্যার শিকার হন ৩৮ জন। ২০১৩ সালে হত্যার শিকার হন ২৯ জন। ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জনকে। ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫ জনকে৷ এভাবে বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের হাতে বাংলাদেশের নিরীহ লোকজন হতাহত হচ্ছেন। মৃত্যুর মিছিল প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। বাংলাদেশে এ নিয়ে প্রতিবাদ যতটুকু হওয়ার কথা তা হচ্ছেনা। বরং একটি গোষ্ঠী প্রতিবাদের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে থাকে।
২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি  ফেলানি হত্যাকান্ড সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ফেলানি হত্যার মামলাটা ভারতীয় আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রথমবারের মতো এ ধরনের বিচারে ঘাতক বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ উপযুক্ত শাস্তি পাবে। বিএসএফ আইনের ৪৮ ধারা অনুসারে দোষী সাব্যস্ত বিএসএফ সদস্যের মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ২০১৩ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর দেয়া রায়ে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। অনেকের বলেন- গরু চোরাচালানের কারণে সীমান্ত হত্যা হচ্ছে – এই তত্ত্বটিও আর টিকেছে না৷ কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু চোরাচালান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
কিছুদিন আগে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে আগের তুলনায় গরু চোরাচালান ৭৫% কমে গেছে।ভারত তো গরু রপ্তানিও বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও কেন কমছে না সীমান্ত হত্যা। যদি বিজিবি আর বিএসএফ এর মধ্যে সীমান্ত সমযোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত না হয় এবং ভারতীয় সরকার যদি সীমান্তে বিএসএফ এর হত্যার বিচারে কড়া আইন না প্রয়োগ করে তাহলে এ হত্যাকান্ড থামবে না। তাই
আমাদের দেশের জনগনের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের দ্বারা এ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি মনে করি। সাম্প্রদায়িকভাবে ভারতের বিরোধীতা না করে তার আধিপত্যবাদী নীতি ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা উচিত।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!