তাহিরপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের বড়গোপটিলা-কড়ইগড়া গারো আদিবাসী ফুটবল মাঠ চোরাকারবারীদের উস্কানীতে দখলের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মাঠরক্ষায় সহযোগিতা চেয়েছেন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৪৮ সনে পাহাড় কেটে মাঠ তৈরি করেছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে অবস্থিত বড়গোপটিলা ও কড়ইগড়া গ্রামের ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন। তাদের উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চায় নিয়োজিত করা। এরপর থেকেই ওই মাঠে আদিবাসী দিবস, জাতীয় দিবস, নিয়মিত খেলাধুলার আসরসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন তারা। সম্প্রতি ওই মাঠটি দখলের চেষ্টা করছে মাঠের পাশের টিলায় অবস্থিত একটি চোরা কারবারি চক্র। তারা আদিবাদীদের মাঠ থেকে উচ্ছেদ করতে হুমকি ধমকিসহ সাম্প্রদায়িক উস্কানীও দিচ্ছে। এ ঘটনায় নীরিহ আদিবাসীরা সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন। স্থানীয়ভাবেও বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেছেন আদিবাসীরা। কিন্তু বিষয়টি অবহেলায় ফেলে রাখায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আদিবাসী ও মাঠ পরিচালনাকারী সুনীল দাজেল ও সেক্রেটোরি সঞ্জীব দালবৎ বলেন, আমাদের পূর্ব-পুরুষরা কয়েক শ বছর ধরে টিলায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। ১৯৪৮ সনে আমাদের পূর্বপুরুষরাই জঙ্গল কেটে যে মাঠ তৈরি করেছিলেন আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই মাঠে খেলাধুলাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু কয়েক মাস হলো কিছু উশৃঙ্খল বাঙালি যুবক জোরপূর্বক সশস্ত্র হয়ে মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। উশৃঙ্খল যুবকরা আমাদের সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছে। হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি বরাবরে আবেদন করার পর রবিবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, শুনেছি একটি অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এখনো হাতে পাইনি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।