স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কালিয়াকুটা হাওরে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সবার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নিখোঁজ সবার মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। নারী ও শিশুসহ নিখোঁজ ১০ জন সবার মৃতদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে অভিযান শেষ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রাম থেকে ফিরোজ মিয়া পরিবারের লোকজন নিয়ে রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে যান। বিকেলে সেখান থেকে সেখানকার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ২৬ জন যাত্রীসহ ইঞ্জিনচালিত নৌকা কালিয়াকুটা হাওরের আইনুল বিলের পাশে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে জীবিত ও চার শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এরা হলো মাছিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (২) ও বদরুল মিয়ার ছেলে আবির (৩), পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সিফাতুল (২) এবং নোয়ারচর গ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে সোহান (৩)। এরপর নিখোঁজ থাকে ছয়জন।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ওই ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা হলেন দিরাই উপজেলার পেরুয়া গ্রামের নসিবুল্লাহর স্ত্রী কারিমা বিবি (৭০), গতকাল উদ্ধার মৃত সোহানের মা আজিরুননেসা (২৫), মাছিমপুর গ্রামের বাসদ মিয়ার শিশুকন্যা শান্তা (৩), একই গ্রামের গ্রামের আয়াজ আলীর স্ত্রী রহিতুন্নেসা (৩৫) এবং নোয়ারচর গ্রামের আফজাল আলীর ছেলে আসাদ (৫)। বেলা ১২টার দিকে সর্বশেষ উদ্ধার করা হয় মাছিমপুর গ্রামের আরজ আলীর মেয়ে তাসমিনা বেগমের (১১) মৃতদেহ।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, আজ বুধবার ভোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল, থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী আবারো অভিযানে নামে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাওরের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিখোঁজ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কাজ শেষ। মোট ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।