1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বৃটিশ মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী সুনামগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু যাদুকাটা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি বেলার সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের মুখে ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান আসাদ মুরাদ তালুকদার মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌহার্দ্যপূর্ণ মতবিনিময় বেকারিপণ্য উৎপাদন-বিপননে অনিয়ম: মাসুম ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা ও শমন জারি আদালতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা জামালগঞ্জে সুদখোরের অত্যাচার সইতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্নহত্যা করলেন ব্যবসায়ী যুক্তরাজ্যে স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুনের দায়ে বাংলাদেশির ২৮ বছরের কারাদণ্ড

ভাটিপাড়ায় গ্রামের বাড়ি আসার বায়না পূরণ হলোনা জায়ানের

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১.৫০ এএম
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় নিহত জায়ানের বাড়িতে মর্মাহত স্বজনরা

বিশেষ প্রতিনিধি::
আসছে নভেম্বরে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাড়িতে প্রথম বারের মতো আসার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় নিহত শেখ সেলিমের নাতি সুনামগঞ্জের দিরাই ভাটিপাড়ার জমিদার পরিবারের সন্তান জায়ান চৌধুরীর। প্রিয় নাতির সঙ্গে নিজেদের জমিদারির গৌরব ও আভিজাত্যের গল্প করতেন র্শিপপতি দাদা মতিনুল হক চৌধুরী। হাওর ঘেরা গ্রামের বর্ণনা শুনে গ্রামে আসতে আগ্রহ জন্মে জায়ানের। তাই দাদুর কাছে বায়না ধরে বাড়িতে নিয়ে আসতেই হবে। নাতির হাত ধরে নিজেদের জমিদারির সীমানা ঘুরে ঘুরে দেখানোর সুপ্ত ইচ্ছেও ছিল দাদুর। পূর্বপুরুষের স্মৃতিবিজড়িত স্থানের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিবেন এমটা ভাবছিলেন তিনি। তাই পারিবারিকভাবে নির্ধারিত হয় আগামী নভেম্বর মাসে প্রথম বারের মতো নাতিকে ভাটিপাড়া গ্রামের ছায়াঘেরা বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু সেটা আর পূরণল হবেনা কোনদিন। গত রবিবার শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন জায়ান চৌধুরী। তার বাবাও আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাতি প্রথম বারের মতো বাড়িতে আসবে এই আহ্লাদে বেজায় খুশি ছিলেন দাদা। তাই ঢাকা থেকে এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে এসে বনেদি পুরনো ভবনের সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। সেই সুখস্মৃতি-আহ্লাদ এই পরিবারে এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে। পুরো পরিবার এখন শোকে স্তব্দ। গ্রামের বাড়ির স্বজনরাও মর্মাহত।
স্বজনরা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে মতিনুল হক চৌধুরী ওরফে পারুল চৌধুরী গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন নাতির আব্দারে বাড়িটি সংস্কার ও সাজাতে। এসে পুরনো জমিদার বাড়ির সংস্কার কাজ করেন তিনি। শ্রমিক লাগিয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার, বসতঘর সংস্কার, বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন সংস্কারসহ রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজও করিয়েছেন। বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল ফ্রিজ, জেনারেটরসহ নানা ধরনের মূল্যবান আসবাব সামগ্রী। এই কাজ নিয়েই বাড়িতে তিনি ব্যস্ত ছিলেন গত এক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু আদরের নাতি বাড়ি আসার আগেই চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেছে। তার বায়না আর কখনো পূরণ হবেনা এটা মনে করে চোখের জল ফেলছেন দাদু। মতিনুল হক চৌধুরীর ছেলে মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
স্বজনরা জানান, নাতির আব্দারে বাড়িতে এসে খোশ মেজাজে সংস্কার কাজ করছিলেন মতিনুল হক চৌধুরী। নাতি প্রথম বারের মতো নিজের পূর্ব পুরুষের ভিটায় আসবে এতে খুবই আনন্দিত ছিলেন দাদা। নাতির নানা খুনসুটির গল্প করছিলেন বাড়ির স্বজনদের কাছে। নিবিষ্ট মনে তিনি শ্রমিক লাগিয়ে তাদের সঙ্গে থেকে সংস্কার কাজও তদারকি করেছেন। গত রবিবারও সংস্কার কাজ করছিলেন তিনি। বিকেলের দিকে তার কাছে ঢাকা থেকে ফোন আসে ছেলে প্রিন্স ও নাতি জায়ান শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে নিখোঁজ আছেন। এতে মুষড়ে পড়েন তিনি। সাথে সাথে রওয়ানা দেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। সিলেটে স্বজনদের বাসায় অবস্থান করে সোমবার সকালে তিনি ঢাকায় চলে যান।
মতিন চৌধুরীর ভাতিজা সুজাত বখত চৌধুরী বলেন, পারুল চৌধুরী সম্পর্কে আমার চাচা হলেও আমরা সমবয়সী। তিনি ঢাকা থেকে আসার সময় আমাকে সিলেট থেকে নিয়ে এসেছেন। গল্প করেছেন তার নাতি ও আমার চাচাতো ভাই জায়ান চৌধুরী আগামী নভেম্বরে বাড়িতে আসবে। তাই তিনি পুরনো বাড়িঘর সংস্কার ও সাজাতে এসেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই আনন্দের সঙ্গে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ তদারকি করছিলেন। রবিবার বিকেলেও আমরা এক সঙ্গে ছিলাম। এসময়ই দুর্ঘটনার ফোন আসে। হাস্যজ্জ্বেল মানুষটি হঠাৎ মুষড়ে পড়েন। এখন তিনি প্রিয় নাতি ও ছেলের জন্য বিলাপ করছেন।
ভাটিপাড়া গ্রামের সংবাদকর্মী সৈয়দুর রহমান তালুকদার বলেন, বাড়িতে এসে দাদা মতিনুল হক চৌধুরী খুব ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। প্রথম বারের মতো নাতি বাড়িতে আসবে তাকে রাজকীয় বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। দামি ফার্নিচারসহ আসবাবপত্র আগ থেকেই বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন। কিন্ত এই দুর্ঘটনা তার মনে স্থায়ী ক্ষত রেখে গেছে। আমরা এলাকাবাসীও এই ঘটনায় মর্মাহত। আমরা এখন প্রার্থনা করছি জায়ানের বাবা প্রিন্স চৌধুরী যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!