স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম।
জেলার ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের লক্ষ্য স্থানীয়ভাবে
৪০ লক্ষ টাকা সংগ্রহের প্রাথমিক উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। জেলা-উপজেলার সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। এই প্রাথমিক ফাণ্ড সংগ্রহ হবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের একদিনের বেতন থেকে। এই মহৎ কাজে সবাই রাজি হয়েছেন।
জানা গেছে জেলার সবগুলো উপজেলা সমাসসেবা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ভিক্ষুকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চলতি মাসেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষকদের এক দিনের বেতন বাবদ আনুমানিক প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
সংগ্রহকৃত সকল অর্থ জেলা প্রশাসনের ভিক্ষুকমুক্তকরণ ফান্ডে জমা করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলা-উপজেলার সকল দপ্তর প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুরুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেইসবুকে লিখেছেন,‘মাত্র এ মাসেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী-শিক্ষকদের ১ দিনের বেতন বাবদ আনুমানিক প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা জেলা প্রশাসনের ভিক্ষুকমুক্তকরণ ফান্ডে জমা করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ টাকা শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে ব্যয় করা হবে। ইতিমধ্যেই আমরা সকল দপ্তর প্রধানকে অবহিত করেছি। আমাদের সবার একটু সহানুভূতি এই হতভাগা মানুষগুলোর জীবনকে পালটে দিতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা সারা দেশে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণের ভুমিকায় থাকতে চাই।’
জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন,‘আমরা প্রাথমিকভাবে আমাদের একদিনের বেতনের টাকায় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করব। জেলা ও উপজেলার করামকর্তারা এতে রাজি হয়েছেন। কিছু ফাণ্ডও ইতোমধ্যে সংগ্রহ হয়েছে। এখন ভিক্ষুকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ করছি আমরা।
উল্লেখ্য জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম ইতোমধ্যে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও লাইব্রেরি, মুক্তিযোদ্ধা উপত্যকা,বধ্যভূমি চিহ্নিতকরণসহ নানা সৃজনশীল কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন।