হাওর ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের তোপের মুখে পড়েন থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। যাদুকাটা বালু মহালের ইজারাদাররা প্রকাশ্যে দিনে ও রাতে পরিবেশ বিধ্বংসী এই কাজ করছে। তারা ইজারা এলাকার বাইরে থেকেও অবাধে বালু পাথর আহরণ করছে। প্রকাশ্যে এসব হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
যাদুকাটা ও মাহারাম নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় উপস্থিত সবাইকে শান্ত হওয়ার আহবান জানান ইউএনও।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় এ ঘটনা ঘটে।
সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, যাদুকাটা ও মাহারাম নদীতে রাতের আধাঁরে নির্বিচারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে, এসব সিন্ডিকেটের সাথে থানার ওসির সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সভায় তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান বলেন, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে থানার দারোগারা ব্যাগ হাতে নিয়ে টাকা তুলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর বলেন, যাদুকাটা নদীর আগের ইজারাদাররা সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করতো। কিন্তু এখন ড্রেজার বসিয়ে মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি ও নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রকাশ্যে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন চলছে। যা তাহিরপুরবাসী অন্য কোনো ওসির আমলে দেখিনি।
বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, আমরাও যাদুকাটা নদীর ইজারাদার ছিলাম, তবে এভাবে ড্রেজার বসিয়ে নদীর পাড় কেটে কখনই বালু উত্তোলন করা হয়নি।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্ বলেন, বিধি বহির্ভূতভাবে নদীতে বালুউত্তোল নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যা আপনারা দেখেছেন। আর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম প্রমূখ।