স্টাফ রিপোর্টার::
মোহনপুর ইউনিয়নের সদ্যপ্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের নাগরিক শোকসভায় বক্তারা বলেছেন, তাজুল ইসলাম ছিলেন, তৃণমূলের সৎ ও নির্লোভ জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ভালোবাসা দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিরপেক্ষতার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সেবা করে গেছেন। বক্তারা বলেন, মোহনপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী জয়নগর বাজারে এর আগে স্থানীয় কোন প্রয়াত জনপ্রতিনিধির স্মরণসভা হয়নি। এই প্রথমবার তাকে স্মরণ করেছে এলাকাবাসী। এ থেকেই প্রমাণ করে তিনি সাধারণ মানুষের কতটা হৃদয়ে কাছে ছিলেন।
সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজার সেলুঘাট মাঠে এলাকাবাসী তাজুল ইসলাম স্মরণে মোহনপুর গ্রামবাসী সর্বদলীয় নাগরিক শোকসভার আয়োজন করেন। শোকসভায় দলমত নির্বিশেষে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মোহনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা রইছুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মনীষ কান্তি দে মিন্টু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল কাদির শিহাব, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক, লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল অদুদ, মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, জয়নগর বাজার হাজীগণি বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিলু মিয়া, সাবেক মেম্বার গোলাম মোস্তফা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রকিব, মো. আকিকুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক শামস শামীম, জাতীয় পার্টি নেতা আবু তালিব আল মুরাদ, সাজু তালুকদার, আলমগীর হোসেন প্রমুখ। শোকসভা শেষে মরহুমের আতœার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন তার শ্বশুর মো. ফয়জুল হক।
বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাজুল ইসলাম। আশরাফ-আতরাফ ভেধাভেধ করে যেসব জনপ্রনিধি সাধারণ মানুষদের দূরে সরিয়ে রাখতেন তাজুল ইসলাম সেই নি¤œবর্গীয় মানুষদের বুকে টেনে নিতেন। তাদের সুখ-দুখে পাশে থাকতেন। সততা ও সরলতার প্রতীক এই প্রতিনিধির অসমাপত্ত স্বপ্নপূরণ ও স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।