বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শ্রমিক ইউনিয়নের আওতাভূক্ত পরিবহন থেকে সিলেট বাইপাসে সিলেট পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সুনামগঞ্জ থেকে আন্ত:জেলা বাস চলাচল বন্ধে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জ আন্তজেলা বাস শ্রমিকরা সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কে বাস চলাচল বন্ধের কর্মসূচি পালন করছেন। দুটি জেলার শ্রমিক ইউনিয়নের বিরোধের জের বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে এমন কর্মসূচির প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী আন্ত:জেলা বাস থেকে সিলেটের বাইপাসে চাদাবাজির শিকার হচ্ছে। সিলেটের বাইপাস সড়কে বাস যাবার পরই শ্রমিকদের মারধর করে সিলেট শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু চাঁদাবাজ ৫০ টাকা করে গাড়ি প্রতি জোর করে আদায় করছে। তিনি জানান গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই অন্যায্য চাঁদাবাজি চলার পর বাস চালকসহ শ্রমিকরা বিষয়টি সিলেটের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের জানান। কিন্তু তারা কেউ এ বিষয়ে পাত্তা না দেওয়ায় আমরা সুনামগঞ্জের শ্রমিকরা আন্তজেলা বাস চলাচলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছি। আমাদের দাবি সিলেট শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাদা আদায় বন্ধ করতে হবে। তিনি জানান, চাদাবাজি বন্ধে আমরা সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, সিলেটের পুলিশকেও অবগত করেছি।
সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, সিলেট শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের মারধরের নালিশ করেও বিচার না পেয়ে সুনামগঞ্জ আন্ত:জেলা বাস শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে। আমরা মালিকরাও তাদের সমর্থন দিয়েছি।
সুনামগঞ্জ যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতা ওবায়দুর রহমান বলেন, বাস শ্রমিকরা তাদের নিজেদের চাদাবাজির বিরোধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কর্মসূচি দেওয়া উচিত হয়নি। আমরা তাদের বিরোধের বলি হতে চাইনা।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা সিলেটের বাইপাস সড়কে সুনামগঞ্জ-ঢাকায় চলাচলকারী আন্তজেলা বাসে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। ঘটনা যেহেতু আমাদের জেলায় নয় তাই তাদেরকে সিলেটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করার কথা বলেছি। তবে যাত্রীদের হয়রানি করে পরিবহন ধর্মঘট না ঢাকার অনুরোধ করেছি তাদের।