1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

ব্যবসা বিক্রি করে মিয়ানমার ছাড়ছে টেলিনর

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১, ৭.০৫ পিএম
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
নরওয়ের বহুজাতিক কোম্পানি টেলিনর তাদের মিয়ানমারের ব্যবসা সাড়ে ১০ কোটি ডলারে লেবানিজ ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম এমওয়ান গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।

ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিক্ষোভ দমাতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়। এ পরিস্থিতিতে সেখানে ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে সঙ্কটে পড়া টেলিনর মিয়ানমার ছাড়ার ঘোষণা দিল।

এক বিবৃতিতে টেলিনর বলেছে, “পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণেই কোম্পানিকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

এক দশক আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি যখন সামরিক শাসনের কবল থেকে গণতন্ত্রের পথে চলা শুরু করল, তখন ঝুঁকি নিয়ে পশ্চিমের হাতেগোনা যে কয়টি কোম্পানি মিয়ানমারে বিনিয়োগ করেছিল, সেগুলোর একটি টেলিনর। নরওয়ের এ কোম্পানি মিয়ানমারে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ৮৮০ জনের প্রাণ গেছে, গ্রেপ্তার হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ২০০ মানুষ।

বিক্ষোভ-জমায়েত ঠেকানোর জন্য অভ্যুত্থানের দিনই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী টেলিনর ও অন্যান্য অপারেটরদের নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে। ওই নির্দেশের সমালোচনা করলেও তা পালন করে টেলিনর।

এরপর কয়েক দিনের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুর অনুমতি মিললেও ১৫ মার্চ থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ আছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির বিদেশি কর্মকর্তাদের বিনা অনুমতিতে মিয়ানমার ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নেটওয়ার্কে নজরদারির যন্ত্রপাতি বসানোর জন্যও কোম্পানিগুলোকে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যতে ব্যবহারকারীদের আরও বেশি পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে সঙ্কটে পড়ে টেলিকম ব্যবসা। ৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার লোকসানে পড়ে গত মে মাসে টেলিনর তাদের মিয়ানমার ইউনিটের সম্পদ মূল্য অবলোপন করে। অথচ গত বছর কোম্পানির মোট আয়ের ৭ শতাংশ মিয়ানমার থেকে এসেছিল।

টেলিনরের প্রধান নির্বাহী সিগভে ব্রেককে বলেন, “গত কয়েক মাসের পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন টেলিনরের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।”

মালিকানা এম ওয়ান গ্রুপের কাছে গেলেও মিয়ানমারে টেলিনরের গ্রাহকদের সেবা বন্ধ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারে টেলিযোগাযোগ ব্যবসা পরিচালনার জন্য ২০১৩ সালে দুটি বিদেশি কোম্পানি নিবন্ধন পায়, যার একটি টেলিনর, অন্যটি কাতারভিত্তিক উরেদু।

সেদেশে অন্য টেলিকম অপারেটর কোম্পানির মধ্যে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত এমপিটি ও মাইটেল, যার কিছু অংশের মালিকানা রয়েছে সামরিক বাহিনীর হাতে।

টেলিনরের ১৮ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের ৯৫ শতাংশই এশিয়ার। মিয়ানমারে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আসছিলেন, যা সেদেশের পাঁচ কোটি ৪০ লাখ জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশ।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!