1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

করোনা : আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা গ্রামের পরিস্থিতি

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১, ১.৫২ পিএম
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশজুড়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও মৃত্যু অব্যাহত আছে। এর মধ্যেই গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ভাঙছে আগের রেকর্ড। আগের দিন সকাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ হাজার ৬৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা আরও ১১ হাজার ৫২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা গত বছর দেশে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে রোগী শনাক্তের রেকর্ড। এই সময় মারা গেছেন আরও ১৬৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ঠিক আগের দিনই গত সোমবার দেশে রেকর্ড ৯ হাজার ৯৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তার আগের দিন ৮ হাজার ৬৬১ জন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ালেও এখন সারাদেশেই তা প্রায় সমান হারে বাড়ছে। এখন শনাক্ত বা মৃত্যু আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। আশঙ্কার কথা হলো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ আরও বাড়বে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘ঈদের পর থেকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ে। এরপর এটি আস্তে আস্তে সীমান্তবর্তী ও এর আশপাশের জেলাসহ সারাদেশে ছড়াতে থাকে।

বর্তমানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ শহর-গ্রাম সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এখন একদিনে ১৬০-১৭০ জন মারা যাচ্ছেন। অর্থাৎ সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী বা পিকটাইমের দিকেই যাচ্ছে। এভাবে সংক্রমণ আরও কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ফলে সামনে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে এখন মানুষের সর্দি-জ্বর। করোনার উপসর্গও হচ্ছে সর্দি-জ্বর। যদিও গ্রামের মানুষ এই উপসর্গকে সাধারণ সর্দি-জ্বর মনে করে পরীক্ষাই করাচ্ছেন না। ফলে কোনো পরিবারে একজন করোনায় আক্রান্ত হলে সেই ঘরের সবাই সংক্রমিত হচ্ছেন। এতে গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামনের দিনে গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জন। মোট নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ এবং ৬৫ জন নারী। এর মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৯১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন রয়েছেন। অঞ্চল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, চট্টগ্রামে ২৪ জন, রাজশাহী ২৪ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশাল ৬ জন, সিলেট ২ জন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৪৩৩ জন। এ ছাড়া আইসুলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৪ জন এবং ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪২৬ জন। বর্তমানে মোট আইসুলেশনে আছেন ৫৬ হাজার ৪৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৯৯ জনকে। ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৯৭৩ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৮১ হাজার ৫৬৪ জন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!