স্টাফ রিপোর্টার::
হাওরের মাছের মহামারি ও পানি দূষণের কারন অনুসন্ধানে নেমে একাধিক গবেষণা দল জানিয়েছে ইউরোনিয়ামের প্রভাবে নয় পচা ধানের এ্যমোনিয়া গ্যাস বৃদ্ধি, অক্সিজেন ও পিএইসের মাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় শাসকষ্টে মাছ মারা গেছে। ইউরোনিয়ামে মারা যাওয়ার কোন লক্ষণ তারা পাননি জানিয়ে বলেছেন, ইউরোনিয়ামে মাছ মারা গেলে সীমান্তের হাওর-নদীতে আগে মাছ মরার কথা। কিন্তু তা না মরে প্রথমে জেলার প্রথম ফসল ডুবে যাওয়া জগন্নাথপুরের মইয়ার ও নলুয়ার হাওরে মাছ মরে।
এদিকে গবেষণা দলগুলো জানিয়েছে বৃষ্টিপাতের কারণে মাছ মরা বন্ধ হলেও এখনো হাওরে এমোনিয়া গ্যাস, অক্সিজেন ও পিএইস অস্বাভাবিক রয়ে গেছে। পানি ব্যবহারে সতর্কতা ও মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক প্রতিনিধি দল। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল কাজ শুরু করেছে। পানি ও মরা মাছসহ জলজ জীব ও উদ্ভিদ প্রজাতি পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে হাওরে নামে। হাওরের এই জীব-বৈচিত্র ও পানি দূষণের বিষয়টি দ্রুত পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাবে তারা।
এদিকে এই দলটি ছাড়াও হাওরের পানি ও মাছ পরীক্ষা করে গেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মৎস্য ও নদী গবেষণা ইনস্টিটিটিউট চাদপুর, বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদলসহ আরো তিনটি প্রতিনিধি দল। তারা শীঘ্রই তাদের পরীক্ষার ফলাফলে কি কারণে পানির দুষণ ও মাছসহ জীব-বৈচিত্র মারা গেছে সেটা জানাবে। তাছাড়া অন্যান্য হাওরও পরিদর্শন করবে তারা। আগামী কাল থেকে আনবিক শক্তি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল হাওরের পানি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে আসবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।