হাওর ডেস্ক ::
করোনা ভাইরাসের মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকেরই মোবাইল ফোন না থাকায় তাদের কাছে এই অর্থ সহায়তা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই যেসব উপকারভোগীর মোবাইল ফোন নেই, তাদের ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্যুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে।
ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব উপকারভোগীর মোবাইল ফোন নেই অথবা যাদের পক্ষে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসাব খোলা সম্ভব নয় তাদের অনুকূলে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ডের তথ্য এবং ইউএনওর প্রত্যয়নের ভিত্তিতে ১০ টাকা আমানতসংবলিত ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। চেকবই না থাকলে ডেবিট ভাউচারের মাধ্যমে উপকারভোগীকে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উপকারভোগী আগে থেকে কোনো ব্যাংকের হিসাবধারী হলে তার অনুকূলে নতুন করে ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন নেই।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলমান অচলাবস্থায় সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দেবে সরকার। ইতোমধ্যে যার এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে। তালিকায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্র্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্যমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে। তবে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় যেসব দরিদ্র বর্তমানে সহায়তা পাচ্ছে, এ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।