হাওর ডেস্ক ::
করোনাভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭০ জনে। মৃতদের একজন পুরুষ এবং অপরজন নারী। একজন ঢাকার এবং আরেকজন ঢাকার বাইরের।
আজ শুক্রবার (১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরো জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরেও অনেকে প্রতিষ্ঠান আমাদের কভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে নানাভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করছে। এসব প্রতিষ্ঠান হলো আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, চাইল্ডহেড রিসার্চ ফাউন্ডেশন অ্যান্ড শিশু হসপিটাল, আইসিডিডিআর বি, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশ লাইফস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সেন্ট্রাল পুলিশ হসপিটাল
ঢাকা এবং ঢাকা বাইরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, যশোর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি, রাজিব কভিড-১৯ পিসিআর ল্যাব রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি নিজেরা করার পাশাপাশি একটি করে পিসিআর মেশিন যথাক্রমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ জামালপুরে হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাদের একটি পিসিআর মেশিন গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজকে হাস্তান্তর করবে। গ্র্যাজুয়েট বায়োকেমিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বায়োকেমিস্ট ও মলিকিউলার বায়োলজিস্টরা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় যোগ দিয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তার, টেকনলজিস্ট ও সাপোর্টদের নমুনা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং পিসিআর এর মাধ্যমে কভিড-১৯ শনাক্তকরণে সহায়তা করে যাচ্ছেন।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। পরে ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।