স্টাফ রিপোর্টার::
৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় জেলার ১১ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন। প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। পরে আনন্দ শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে শহিদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনাসভায় মিলিত হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, সহকারি পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, মুক্তিযোদ্ধা আসাদুল্লাহ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা নূরুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজীআরা শাম্মী প্রমুখ।
আনন্দ শোভাযাত্রায় ব্যান্ডপার্টির সদস্যরা মুক্তিরগানে সুর দিয়ে এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে। তাছাড়া মহিষের গাড়ি, যোদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচার ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হানাদারদের প্রতীকি আতœসমর্পনের দৃশ্য ছিল দেখার মতো। মুক্তিযোদ্ধারা মাথায় বুকে বিজয়ফুল ব্যাজ ও মাথায় বিজয়ের ব্যাজ পড়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত কণ্ঠে জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত ছিল রাজপথ। আলোচনাসভায় মুক্তিযোদ্ধা জনতা সকল যোদ্ধাপরাধীর বিচার দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সনের এই দিনে শত্রমুক্ত হয় সুনামগঞ্জ শহর। বালাট সাবসেক্টরের যোদ্ধারা তিনদিক থেকে আক্রমণে এসে পর্যদুস্তু করেন পাকিস্তানী হানাদারদের। পরে হানাদাররা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়।