বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দশ উপজেলার মধ্যে চারটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অন্যদিকে ৮টি উপজেলায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আ.লীগ ও বিএনপির ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বর্তমানে দশটি উপজেলায় ২১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন শেষে ভোটের মাঠে আছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে আছেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা এবং সরকারি কলেজের ভিপি মনীষ কান্তি দে মিন্টু।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুরে আ.লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। দক্ষিণে বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ ও তাহিরপুরে বিএনপি নেতা আনিসুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি প্রভাষক মোশারফ হোসেন ইমন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এই উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে মাঠে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সফির উদ্দিন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ দুলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
জামালগঞ্জ উপজেলায় আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদের সঙ্গে মাঠে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আ.লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম। এই উপজেলায় বিএনপির কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দিলেও জেলা হেফাজতে ইসলাম নেতা মওলানা রশিদ আহমদ মাঠে আছেন।
ধর্মপাশা উপজেলায় বিএনপির কোন প্রার্থী স্বতন্ত্র মনোনয়ন জমা না দিলেও আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদের সঙ্গে তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন রোকন, আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
তাহিরপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জুনাব আলী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. আব্দুর রহিমের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন উপজেলা আ.লীগের একাংশের সভাপতি ফরিদ আহমেদ তারেক। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এই উপজেলায় বিএনপির সিনিয়র নেতা শাহজাহান মাস্টার ও বিএনপি নেতা দেওয়ান আবুল হোসেন মাহমুদ রাজা চৌধুরী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দেওয়ান আল তানভির আশরাফি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
শাল্লা উপজেলায় বিএনপির কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা না দিলেও জেলা আ.লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
দিরাই উপজেলায়ও বিএনপির কেউ মনোনয়ন জমা না দিলেও আ.লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, জেলা আ.লীগ নেতা কামরুল আলম চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তারা দলীয় মনোনীত প্রার্থী প্রদীপ রায়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।
ছাতক উপজেলায় বিএনপির কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। এ উপজেলায় আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে মনোনয়ন জমাদানকারী এক বিদ্রোহী আওলাদ আলী রেজা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও অপর বিদ্রোহী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।