বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর পক্ষে বুধবার আইনজীবীদের উদ্যোগে শহরে গণসংযোগ এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশ করেছে জেলা শ্রমিক লীগ।
বুববার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত শ্রমিক লীগের কর্মী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান, মহাজোট মনোনীত প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সেলিম আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মুবিন, ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জিসান এনায়েত রাজা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য এর আগে তিনি গত কয়েকদিন আগে বিশ্বম্ভরপুরে সভা করে মহাজোট প্রার্থী তার সঙ্গে প্রচারণা বিষয়ে কোন কথা বলেননি বলে মন্তব্য করেছিলেন। অবশেষে মতিউর রহমান অভিমান ভুলে মাঠে নামায় অভিন্দন জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমান বলেন, মহাজোটের প্রার্থী পীর মিসবাকে বিজয়ী করাতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। সদর আসনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মহাজোটের লাঙ্গলের পক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছে। বিজয় ঘরে নিয়ে না আসার পূর্ব পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না।
সমাবেশ শেষে আলহাজ্ব মতিউর রহমান শ্রমিক লীগ ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে পীর মিসবাহ’র পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, মহাজোট মনোনীত প্রার্থী পীর মিসবাহর প্রতি আমার কোন রাগ, অভিমান নেই। নেত্রীর জন্য আমি বার বার ত্যাগ করেছি। নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে মিসবাহকে বিজয়ী করানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নেত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে,সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর পক্ষে গণংযোগ করেছেন জেলা জজ আদলতে কর্মরত আইজীবীরা। বুধবার বেলা ২ টায় প্রবীণ আইনজীবীদের নেতৃত্বে একটি দল আদলত এলাকা থেকে লাঙ্গলের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে মিছিল নিয়ে শহরে এসে জনবহুল এলকায় গণসংযোগ করে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চান তারা। আইনজীবীদের এই প্রচারণায় শহরে ব্যাপক সাড়া পড়ে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর লাঙ্গলের ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সাধারণ ভোটাররা।
আইনজীবীদের গণসংযোগে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আফতাব উদ্দিন, অ্যাড. মো. রইছ উদ্দিন আহমদ, বর্তমান পিপি ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি খাইরুল কবির রুমেন, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম, অ্যাড. চাঁন মিয়া, অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, অ্যাড. রাধাকান্ত সূত্রধর, অ্যাড. বশির উদ্দিন, অ্যাড. রজত কান্তি দে, জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম শেফু, অ্যাড. শুক্কুর আলী, অ্যাড. অ্যাড. আব্দুল হামিদ, ছায়াদুর রহমান তালুকদার, অ্যাড. জুলহাস উদ্দিন, অ্যাড. মিজানুর রহমান, অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাড. মনিষ কান্তি দে মিন্টু, অ্যাড. অঞ্জন ভৌমিক, অ্যাড. গৌরাঙ্গ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিমান রায়,ু অ্যাড. অশক গোস্বামী, অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, অ্যাড. দেবাংশু তালুকদার, অ্যাড. আব্দুল ওদুদ, অ্যাড. অ্যাড. আব্দুল খালিক, জিয়াউর রহমান পীর প্রমুখ।
আইনজীবীরা বলেন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মহাজোট থেকে পীর ফজলুর রহমান মিসবাকে মনোনয়ন দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আইনজীবীসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে এ নিয়ে কোন বিভেদ নেই। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে পীর মিসবাহকে বিজয়ী করাতে সবাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ ব্যাপারে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর পক্ষে বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক নারীদের উপস্থিতিতে প্রতিদিন সমাবেশ হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশাল নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয়া নারীরা পীর মিসবাহকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।