স্টাফ রিপোর্টার::
হয়রানিমূলক মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও হাওর আন্দোলনের নেতা সাংবাদিক জয়ন্ত সেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় তিনি মধ্যস্ততা করার পরও দুষ্কৃতিকারী গোষ্ঠীর ইন্দনে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টি সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারকে অবগত করেছেন জেলা জ্যেষ্ট সাংবাদিকরা।
জানা গেছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আনন্দপুর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন জয়ন্ত সেন। এসময় ছায়ার হাওরের রাস্তার মোড়ে নয়া শেখ হাটি সংলগ্ন স্থানে জুয়া খেলছিল কিছু লোক। গ্রামের রিংকু রায়সহ কয়েকজন প্রফেশনাল জুয়াড়ি জুয়া খেলছিল ওই স্থানে। এই সময় রিংকু রায় একই গ্রামের বকুল দাসকে তার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে দিবে বলে ৫০ হাজার টাকা চায়। এই টাকার দর কষাকষি নিয়ে বকুল দাস ও রিংকু রায়ের কথা কাটাকাটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ওই সময় সাংবাদিক জয়ন্ত সেন দৈনিক কালের কণ্ঠ ও একাত্তর টিভির সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম ও যুবলীগ নেতা টিটু দাসের সঙ্গে বাড়ির দিকে আসছিলেন। সাংবাদিক শামস শামীম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি কাজে শাল্লা উপজেলার কামারগাঁও গিয়েছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জে ফেরার পথে জয়ন্ত সেন তার বাড়িতে একসঙ্গেই আসছিলেন। ওই সময় রিংকু ও বকুল দাসসহ কয়েকজনের হাতাহাতির খবরে তিনি এগিয়ে গিয়ে দেখেন তারা হাতাহাতিতে লিপ্ত। সাংবাদিক জয়ন্ত সেন সাথে সাথেই শাল্লা থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে ফোনে বিষয়টি অবগত করে সাংবাদিক শামস শামীম ও যুবলীগ নেতা টিটো দাসকে বিদায় করে বাড়িতে চলে যান। পরদিন তিনি হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের শাল্লা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একটি মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়ও উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে তিনি সাংবাদিক বিজন সেন রায়ের সঙ্গে সুনামগঞ্জে চলে আসেন। ঘটনার দুইদিন পর তিনি সুনামগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থানকালীন সময়ে জানতে পারেন তাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক জয়ন্ত সেনকে হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানোর বিষয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহকে অবগত করেন হাওর বাচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক বিজন সেনরায়সহ জেলার জ্যেষ্ট কয়েকজন সাংবাদিক। পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান সাংবাদিকদের ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন।
কিন্তু সাংবাদিক জয়ন্ত সেনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলাটি রেকর্ড করার পরই তাকে এলাকা ছেড়ে থাকতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাল্লা থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ওই সময়ে সাংবাদিক জয়ন্ত সেন আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। এর একটু পরেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে সাংবাদিক জয়ন্ত সেন এ ঘটনায় জড়িত কি না আমরা জানিনা। বাদী আমাদের কাছে অন্য আসামিদের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তিনি আসামি হয়েছেন।