1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা ছড়ারপাড়ে ছু রি কা ঘা তে প্রাণ গেল এক কিশোরের সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৪টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৬৪ জন প্রার্থী বিদ্যুৎ সংকটে অতিষ্ঠ মফস্বল ও গ্রামীণ জনজীবন, বিতরণে বৈষম্য যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে বনানীতে সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা ,যানজট শনিবার থেকে বন্ধ থাকবে যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকালেই মুন্সীগঞ্জের সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস,পাশাপাশি হতে পারে শিলাবৃষ্টিও সামর্থ্যের চেয়েও বেশি দিচ্ছেন তাসকিনরা, খুশি অধিনায়ক টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের হেলিকপ্টারে আগুন, কেমন আছেন দেব?

সিলেট সিটি নির্বাচন: সংঘাত-বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে গুঞ্জন নিয়ে বিএনপি ছিল কৌশলী

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮, ৪.০৪ পিএম
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

শামস শামীম::
নির্বাচনের দিন রাস্তাঘাটে বা কেন্দ্রের আশপাশে কোন জটলা ছিলনা বিএনপি নেতাকর্মীদের। চোখে পড়েনি ব্যাজধারী কর্মীদের উপস্থিতি। সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার পথ এড়িয়ে তারা কৌশলী ও গুজবের পথ বেছে নিয়েছেন এমনটা মনে করেন সচেতন সিলেটবাসী। এই সুযোগে উচ্ছৃঙ্খল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনার জন্ম দিয়ে বিএনপির কৌশল ও গুজবেই অসচেতনভাবে সহযোগিতা করেছেন এমনটি মনে করেন তারা। বাস্তবেও জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ছাত্রদল বিএনপির ঘাপটি মারা নেতারা কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে সিল দিয়েছেন এমন সত্যতা মিলেছে। তাছাড়া কৌশলের কারণে বিএনপির কোন এজেন্টই কেন্দ্রের ভেতর বিশৃঙ্খলার বিষয়ে কিছু বলেননি। বরং স্বাভাবিকভাবে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন এমনটা বলেছেন।
নগরীর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সচেতন মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নির্বাচনের রাত থেকেই নগরীতে নানা গুজব শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বাস্তবেও সেই গুজবের ডালপালা ছড়াতে থাকে। ছাত্র লীগ-পুলিশ রাতেই কেন্দ্র বাছাই করে সিল মারছে এমন গুজব ছিল নগর জুড়ে। তাছাড়া কেন্দ্র গুলোতে কেবল ঢাকা, গোলাপগঞ্জ, মাদারীপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আওয়ামী লীগ প্রাথীর পক্ষে কাজ করানোর জন্য পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে এবং সিলেটের বাইরের অফিসারদের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে এমন গুজব ছিল। কিন্তু বাস্তবে তেনটা চোখে পড়েনি। ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই স্থানীয় প্রিসাইডিং অফিসারসহ স্থানীয় অস্থানীয় পুলিশকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এমনকি ভোট কেন্দ্রের বাইরে নিরপেক্ষতার ভান ধরে সাধাররণ ভোটারের পরিচয়ে অবস্থানকারী ব্যাজহীন কর্মীরাও বাইরে গুজব রটাতে সাধারণ ভোটার ও সাংবাদিকদের। কিন্তু কেন্দ্রগুলোতে ডুকে তেমন কিছু চোখে পড়ত না।
ভোটের আগের রাত নগরীতে ৩০ কেন্দ্র দখল করে ছাত্রলীগ ও পুলিশ নৌকায় সিল মারছে এমন গুজব ছড়ানো শুরু হয়। এর মধ্যে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রও ছিল আলোচনায়। রাত সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রের আশাপাশে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেও এমন কিছু চোখে পড়েনি। কোন হট্টগোল বা সাড়াশব্দ মিলেনি। ভোট শেষে এই কেন্দ্রেও বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। দক্ষিণ সুরমার সিলেট কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুপুর থেকেই উত্তেজনা ছিল। দুপুর ১২টায় গুজব রটে ভোট কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় ছাত্রলীগ ডুকে নৌকায় সিল মারছে। এসময় কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি বাহিনীও ছুটে আসে। কিন্তু দিন শেষে এই কেন্দ্রেও বিজয়ী হয় ধানের শীষ। ওই ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারসহ সবাইকে সিলেটের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলা হলেও ওই কেন্দ্রের দায়িত্বশীল প্রিসাইডিং অফিসার অ¤্রুজিত পাল সিলেট জনতা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এই কেন্দ্রে এসএমপি ও দক্ষিণ সুরমা এলাকায় কাজ করেন এমন পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। দক্ষিণ সুরমার আটটি কেন্দ্র ঘুরে সবকটিতেই স্থানীয় প্রিসাইডিং অফিসারদের দেখা গেছে। তাছাড়া কেন্দ্রে সিলেটের বাইরের কিছু পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক স্থানীয় পুলিশও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নগরীর শাহজালাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নিয়েও গুজব রটানো হয় ভোটের দিন দুপুরে। বলা হয় এই কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারছে ছাত্র লীগ। কিন্তু ভোট শেষে এই কেন্দেও বিজয়ী হয় ধানের শীষ। এভাবে দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং অফিসারসহ সবাইকে সিলেটের বাইরের এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলা হলে সেখানে গিয়ে দেখা যায় দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দীপক কান্তি চৌধুরী সিলেট ব্লুবার্ড স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি অধ্যাপক। একই এলাকার হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সবাই বাইরের এমন গুজব রটানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার সিলেট জালালাবাদ গ্যাসের কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান মাহমুদ। তিনি জানালেন, এখানে স্থানীয় পুলিশসহ বাইরের পুলিশও আছেন।
শহরের জালাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুর ২টায় গিয়ে দেখা যায় ভোট কেন্দ্রের প্রবেশ পথে বিপুল সংখ্যাক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বাইরে ব্যাজহীন বিএনপি কর্মীরা সাধারণ ভোটারের পরিচয়ে ভোট কেন্দ্রে ছাত্র লীগ ডুকে মারছে এমন অভিযোগ করছিলেন। পরে জানা গেল দুই কাউন্সিলরের সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে এখানে হাঙ্গামায় জড়িয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে নৌকা ও জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপি কর্মীরা ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন পরে ছড়ানো ব্যালট পেপার নিচে পেয়ে সেটা পাবার পর প্রমাণ পাওয়া যায়।
এভাবে ভোটের রাত থেকে ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে ব্যাজ ধারণ না করে পরিচয় গোপন করে গুজব চালিয়েছেন কৌশলী বিএনপি নেতাকর্মীরা। দিন শেষে কৌশল ও গুজবের বাস্তব ফল পেয়ে হেসেছেন তারাই।
কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট ডাকাতির চেষ্টা করেছে। মামলা-মোকদ্দমা-ভয়-হয়রানীর করণে দলীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন পলাতক। তবে সাধারণ ভোটাররা আওয়ামী লীগকে প্রতিটি কেন্দ্রে মোকাবেল করে তাদের ভোট ডাকাতির জবাব দিয়েছেন। যে কারণে আমাদের বিজয় ছিনিতে নিতে পারেনি তারা।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, নির্বাচনের আগ থেকেই গুজব ও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। নির্বাচনের রাত থেকেই তারা গুজব ছড়িয়ে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছে। তারা আওয়ামী লীগকে সমালোচিত করতে বিভিন্ন কেন্দ্রে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ধানের শীষে ভোট দিয়েছে। আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল স্থগিতের দাবি জানিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!