1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা ছড়ারপাড়ে ছু রি কা ঘা তে প্রাণ গেল এক কিশোরের সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৪টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৬৪ জন প্রার্থী বিদ্যুৎ সংকটে অতিষ্ঠ মফস্বল ও গ্রামীণ জনজীবন, বিতরণে বৈষম্য যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে বনানীতে সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা ,যানজট শনিবার থেকে বন্ধ থাকবে যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সকালেই মুন্সীগঞ্জের সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরল একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস,পাশাপাশি হতে পারে শিলাবৃষ্টিও সামর্থ্যের চেয়েও বেশি দিচ্ছেন তাসকিনরা, খুশি অধিনায়ক টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের হেলিকপ্টারে আগুন, কেমন আছেন দেব?

ঢাবির প্রথম ছাত্রী সিলেটের লীলা নাগের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১, ১.২০ পিএম
  • ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী সিলেটের মেয়ে প্রয়াত লীলা নাগের ৫১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। লীলা রায় নামে পরিচিত স্বাধীনতা সংগ্রামী এই নেত্রী ১৯৭০ সালের ১১ জুন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

লীলা নাগের জন্ম ১৯০০ সালের ২ অক্টোবর তৎকালীন ভারতের আসাম প্রদেশের সিলেট জেলার গোয়ালপাড়ায়। পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ অবসর প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তাঁর পিতৃ-পরিবার ছিল তৎকালীন সিলেটের অন্যতম সংস্কৃতমনা ও শিক্ষিত একটি পরিবার। লীলা নাগ ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী অমিত রায়কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার নাম হয় শ্রীমতি লীলাবতী রায়।

লীলা একজন বাঙালি সাংবাদিক, জনহিতৈষী এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী ছিলেন। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহকারী ছিলেন।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন নেত্রী ছিলেন । এজন্য কয়েকবার তাঁকে কারা বরণ করতে হয়। তিনি মহিলা সমাজের মুখপত্র হিসেবে ‘জয়শ্রী’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন। লীলা রায় ছবি আঁকতেন এবং গান ও সেতার বাজাতে জানতেন। দেশভাগের দাঙার সময় তিনি নোয়াখালীতে গান্ধীজীর সাথে দেখা করেন। তিনি দিপালী সংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।

তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকার ইডেন স্কুলে। ১৯২১ সালে তিনি কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং পদ্মাবতী স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ১৯২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে এমএ ভর্তি হন।

১৯২৩ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনিই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমএ ডিগ্রীধারী। তখনকার পরিবেশে সহশিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে লীলা রায়ের মেধা ও আকাঙ্ক্ষা বিচার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চান্সেলর ড. হার্টস তাকে পড়ার বিশেষ অনুমতি প্রদান করেন।

লীলা নাগ ঢাকা কলেজে পড়তেন। তার এক ক্লাস উপরের ছাত্র ছিলেন সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন। লীলা নাগ সম্পর্কে তিনি তার স্মৃতিকথা নামক প্রবন্ধ সংকলনে লেখেন, ‘এঁর মত সমাজ-সেবিকা ও মর্যাদাময়ী নারী আর দেখি নাই। এঁর থিওরী হল, নারীদেরও উপার্জনশীলা হতে হবে, নইলে কখনো তারা পুরুষের কাছে মর্যাদা পাবে না। তাই তিনি মেয়েদের রুমাল, টেবলক্লথ প্রভৃতির উপর সুন্দর নক্সা এঁকে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই সব বিক্রি করে তিনি মেয়েদের একটা উপার্জনের পন্থা উন্মুক্ত করে দেন।’

বাঙালি নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে লীলা নাগ বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি ঢাকার আরমানীটোলা বালিকা বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল এবং শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় (তৎকালীন নারীশিক্ষা মন্দির) প্রতিষ্ঠা করেন। ভারত বিভাগের পর লীলা নাগ কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!