1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থনীতি পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতি করতেই সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রবিবার চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট কোটা আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের পরিবার পেল সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের সঙ্গে সরকার পতনের আলোচনা হয় ভিপি নুরের! শিক্ষিত প্রজন্মের কাছে আমরা সম্মান চাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী এমপি এভাবে রাষ্ট্রের ধ্বংস মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী আন্দালিব রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে কোটা আন্দোলন সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের গবেষক দীপংকর মোহান্ত সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে সুপার হয়ে আসায় কবি লেখকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নিম্নাঞ্চলে বাড়ছে পানি

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪, ১.১৯ পিএম
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। রাতে অনেকের ঘরে গলা পর্যন্ত পানি উঠে যায়। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষ। অনেকে রাতে নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে ভার্চুয়াল মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ময়নারহা খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা সাজিদুর রহমান সাজন নামে এক যুবক সাহায্যের আকুতি জানিয়ে ফেসবুকে এমন পোস্ট করেন। বুধবার (২৯ মে) রাত ১১টা ৯ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন- ‘হায়রে ফেরী ঘাটের নৌকা, একটা নৌকা নাইনি বাছাইবার লাগি’।

‘লাশ উদ্ধার অইমু হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে পারতাম না, হয়তো এইটা শেষ পোস্ট’—এভাবেই বাঁচার আকুতি জানান সাজিদুর সাজন।

এর আগে রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাজিদুর রহমান সাজন লেখেন, ‘আমি দৌলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা দিলু মিয়ার পোয়া, বাড়ি ফেরিঘাট। আমরারে কেউ বাঁচাও, আমরার মরণ সামনে, কেউ বাঁচাও আমরারে, মা ভাই লইয়া আটকিগেছি’।

আকুতি জানিয়ে সাজিদুর রহমান আরও লেখেন, ‘অনেক স্রোতের কারণে কেউ উদ্ধারের জন্য আসতে পারছে না, সুন্দর এই ভুবনে বাঁচার অনেক ইচ্ছা। ’
সাজনের মতো জৈন্তাপুর উপজেলার আরও কয়েকটি জায়গা থেকে উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যায় আটকে পড়া কয়েকজন নৌকা চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

জৈন্তাপুরের ময়নাহাটি খেয়াঘাট এলাকার আহমেদ নাইম রাত সাড়ে দশটায় ফেসবুকে লেখেন- ‘একটা ইঞ্জিন নৌকার দরকার, কেউ বাঁচাও আমরারে’।

এদিকে উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী চেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা সাংবাদিক ফারুক আহমদ তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন- ‘উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী নিয়োজিত করা জরুরি। জৈন্তাপুর গোয়াইনঘাট, কানাইঘাটে ভয়াবহ বন্যা। ’ তিনি এই পোস্টে ট্যাগ করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।

সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাহেদ আহমদ পানিবন্দি মানুষের জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে লেখেন, ‘কেউ নিজপাট ময়নারহাটি, মাঝেরটুকে একটি নৌকা পাঠান, কিছু লোক আটকা পড়েছেন।

জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে এই তিন উপজেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল। অনেক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। পানিবন্দি মানুষরা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়ন, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে। এই উপজেলা ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবন প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এছাড়া সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলায় নিজপাট লামাপড়া, বন্দরহাটি, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, বড়খেলা, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ফুলবাড়ী, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, লমানীগ্রাম, কাটাখাল, বাউরভাগ ও বাওন হাওরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।

এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটের বিভন্ন এলাকা। গ্রামীণ সড়ক ডুবে যোগাযোগ ব্যাহত রয়েছে অনেক জায়গায়।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন সিলেটভিউকে জানান, ইতোমধ্যেই গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ উঠতে শুরু করেছে। এছাড়া আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে,
সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি-গোয়াইনসহ প্রত্যেকটি নদীতে পানি বেড়েছে। বেশিরভাগ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে পানি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!