হাওর ডেস্ক::
জেরুজালেম ও মসজিদুল আকসা রক্ষার জন্য ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস রকেট হামলা চালিয়েছে বলে মনে করেন বহু ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার প্রকাশিত জনমত জরিপে এমন তথ্য মিলেছে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর থেকে হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে কমেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহর জনপ্রিয়তা।
রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চ এ জরিপ চালায়।
৯ জুন থেকে ১২ জুনের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। এতে অংশ নেন প্রায় ১২০০ ফিলিস্তিনি।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ ফিলিস্তিনি মনে করেন, হামাস ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়েছে জেরুজালেম এবং আল-আকসা মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ৯ শতাংশ মনে করেন, ফিলিস্তিনের সাধারণ নির্বাচন বাতিল হওয়ার কারণে এ সংঘাত হয়।
খবরে বলা হয়, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, হামাস ফিলিস্তিনিদের প্রতিনিধিত্ব করা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি যোগ্য। অন্যদিকে সামান্য অংশ বিশ্বাস করেন, ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হচ্ছে ফাতাহ।
এতে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ ফিলিস্তিনি মনে করেন, সর্বশেষ যুদ্ধে হামাস ইসরাইলের সঙ্গে জিতেছে। আর ৬৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি মনে করেন, এ যুদ্ধে হামাস তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে। লক্ষ্যগুলোর অন্যতম— শেখ জারাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি ঠেকিয়ে দেওয়া এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরে সফলভাবে রকেট হামলা। একই সঙ্গে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে ইসরাইলি ‘নিষেধাজ্ঞা’-এর অবসান ঘটিয়েছে হামাস।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, এখন যদি ফিলিস্তিনে নির্বাচন হয়, তবে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ৫৯ শতাংশ ভোট পাবেন। বিপরীতে আব্বাস পাবেন ২৭ শতাংশ।
সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় বহু ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। ইসরাইলের ক্ষতিও কম হয়নি। বিশ্বজুড়ে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ-নিন্দার ঝড়কে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।