স্টাফ রিপোর্টার
পূর্ব শত্রুতার জেরে একজনকে বেধড়ক মারধরে আহত করার পর তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই হামলাকারীকে হাতকড়া পড়িয়ে আটকের পর স্বজনরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। হামলাকারীদের ছিনিয়ে নেওয়ার দুই ঘন্টা পর হাতকড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার খেয়াঘাট এলাকায়। আহত ব্যক্তি মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে আম্বির আলী (৪৫)। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শুক্রবার বিকাল পৌণে ৪টায় দোয়ারাবাজার খেয়াঘাট এলাকায় আম্বির আলীকে মান্নারগাঁও ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের ছেলে তুর্জ আলম, কমল আলম এবং অ্যাড. কানন সহ আরেকজন রামদা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। ভিডিওতে দেখা যায় এডভোকেট কানন ও তুর্য যুবককের হাত পা ধরে রেখেছে এবং কমল আলম নামে আরেকজন রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর হামলাকারীরা আম্বির আলীকে গাড়িতে করে ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে নিয়ে যায়। সেখানকান মানুষজন অবস্থা থেকে পথরোধ করে পুলিশকে খবর দেয়।
এসময় পুলিশ আম্বির আলীকে উদ্ধার করে। পুলিশ আহত আম্বির আলীকে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় ইউপি সদস্য ফরহাদ আলমের বাড়ির সামনে থেকে হামলাকারী ইউপি সদসস্যের ছেলে তুর্জ আলম ও কমল আলমকে আটক করে পুলিশ। ইউপি সদস্য মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফরহাদ আলম ও অ্যাড. কানন তাদের লোকজনকে সকলকে ঘেরাও করার নির্দেশ দেন। ইউপি সদস্যের লোকজন রামদা, দা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত নিয়ে তুর্জ ও কমলকে হেন্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় ছিনিয়ে নেয়। অবস্থা বেঘাতিক দেখে পুলিশও কোন প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। জানা গেছে, এর আগেও আজমপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান গ্রুপ ও ফরহাদ আলমের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। হাতকড়াসহ হামলাকারীদের ছিনিয়ে নেবার প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশ হামলাকারী পরিবারের কাছ থেকে হাতকড়া উদ্ধার করে। তবে হামলাকারীরা এখনো পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, হাতকড়া উদ্ধার করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।