মোঃ মোশফিকুর রহমান স্বপন:
সুনামগঞ্জের পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুয়েল আহমেদ। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।আব্দুজ জহুর সেতু সংলগ্ন সড়ক পথ থেকে একটু দূরে টঙ্গী দোকানের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।
দিন শেষে যে আয় হয়, তা দিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চলেন।ব্যবসা করতে গিয়ে রুয়েল আহমেদের নজরে এসেছে যে,শহরের সড়কে,আনাচে কানাচে, ফুটপাতে অসংখ্য পাগল এবং ভিক্ষুক একমুঠো ভাত খাবারের জন্য মানুষদের নিকট হাত পাতে,কত আকুতি – কত মিনতি করে! কেউ পায়, কেউ পায়না।অনাহারে – অর্ধাহারে দিনগুনছেন অনেক পাগল এবং ভিক্ষুক। এমনকি অনাহারে থাকতে থাকতে যখন ক্ষুদার জ্বালায় আর সহ্য করতে পারেনা,তখন ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনার সাথে ফেলা রাখা পঁচা দুর্গন্ধ মিশ্রিত খাবার খেয়ে বাঁচেন পাগলরা।এই দৃশ্য দেখেই
মানবিক রুয়েল আহমেদ সিদ্ধান্ত নিল,নিজ উদ্যোগে অন্ততপক্ষে সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ প্রতি শুক্রবার জুময়ার নামাজ শেষে চার / পাঁচ জন পাগল এবং ভিক্ষুককে একবেলা খাবার দিবেন।
যেই কথা সেই কাজ।রুয়েল আহমেদ গেল পাঁচ সপ্তাহ ধরে চার/ পাঁচ জন পাগল এবং ভিক্ষুকদের খাবার দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন।এমন মহৎ কাজে মল্লিকপুর এলাকার ১০/১২ জন ব্যবসায়ী অর্থ দিয়ে সহায়তা করছেন রুয়েল আহমেদকে। ফলে দিনদিন রুয়েল আহমেদ শহরের পাগল এবং ভিক্ষুকের পাশে দাঁড়িয়ে কমপক্ষে চল্লিশ জনকে একবেলা খাবার দিয়ে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ শুক্রবার তার পঞ্চম বারের মতো এই মহতী উদ্যোগ।চল্লিশ জন পাগল এবং ভিক্ষুককে খাবার দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি।
রুয়েল আহমেদ আমাদের বিএমএফ টেলিভিশন এর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, এমন উদ্যোক্তা যেন দেশের প্রতিটি শহরে তার মতো তৈরি হয়।অসহায় পাগল এবং ভিক্ষুকরা অন্ততপক্ষে একবেলা খাবার খেতে পারে।
অসহায় পাগল এবং ভিক্ষুকরা সেই খাবার পেয়ে একটু স্বস্তি ফিরে পায়,শান্তি পায়।এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন মানবিক রুয়েল আহমেদ।
তিনি বললেন, আমাদের এই উদ্যোগ চলমান থাকবে।