মধ্যনগর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঠিকাদার এ কাজ করেছেন বলে কাছে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা যায়,বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভবনের অনুমোদন দেয় সরকার। পরে কাজ পায় আমেনা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি পাওয়ার পর থেকে ঠিকাদার জহিরুল আমিন নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী যেমন ইট,বালু,পাথর ও রড ব্যবহার করে আসছেন।তবে এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করেননি ঠিকাদার।
বুড়িপত্তন গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বলেন,পাইলিং থেকে শুরু করে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সবকিছুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেছে।ঢালাইয়ে সিমেন্টের পরিমাণ কম ব্যবহার করা হয়ে। যার ফলে ঝুরি ঝুরি করে পাথরগুলো ছাদ থেকে খসে পড়ছে।
বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন,গ্রামের স্কুল মানে গ্রামবাসীর একটি স্থায়ী সম্পদ। শুরু থেকেই ঠিকার জহিরুল আমিন ওই স্থানে উপস্থিত না থেকে তার লোকদের দিয়ে সব নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ভবনের কাজ করছে।এতে আমরা বার বার প্রতিবাদ করলেই আমাদের কথা সে শুনছেনা।
বুড়িপত্তন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমাদের নতুন ভবনের কাজটি ঠিকাদার তার ইচ্ছে মত যেভাবে পারে সেভাবেই করছে।আমরা তাকে বারবার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও মানছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফা খাতুন বলেন,এই কাজের বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি।উদ্বোধনের সময় আমাকে কেউ কিছু বলেনি।
ঠিকাদার জহিরুল আমিন বলেন,আমার জানামতে অনিয়ম হওযার কোনো সুযোগ নেই। কাজটি ভালো করেই আমরা করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান বলেন,সরেজমিনে দেখে আমরা যদি কোনো অনিয়ন পাই তাহলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।