বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগেঞ্জের ছায়ার হাওরের মাউতি ফসলরক্ষা বাধ ভেঙ্গে রবিবার সকাল থেকে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। কৃষকরা জানিয়েছেন এখনো এই হাওরে অর্ধেক জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে ৯০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এই হাওরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ৪ হাজার ৬৩৭ হেক্টরসহ কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার বোরো জমিও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে রবিবার ভোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিআইসি নির্মিত বাঁধটিতে ফাটল দেখা দেয়। পরে বাধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। বাধ ভাঙ্গার এই দৃশ্য দেখে হাজার হাজার কৃষক তাদের অবশিষ্ট জমির ধান কাটতে হাওরে নেমে গেছেন।
শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু জানান, এই হাওরে সবচেয়ে বেশি জমি শাল্লা উপজেলার। কিছু জমি কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন ও কিছু জমি নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষকদের। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে। বাকি অর্ধেক ধান কাটার বাকি আছে। এই অবস্থায় হাওর তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এই প্রকল্পটি অন্য প্রকল্পের চেয়ে ঝূকিপূর্ণ ছিলনা। তারপরও পানির চাপে রবিবার সকালে ভেঙ্গে গেছে। এখন হাওরে পানি প্রবেশ করছে। তবে কৃষক ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ জমির ধান কেটে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।