বিশেষ প্রতিনিধি:
ভোটারদের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে পান ও সিগারেটের ফ্রি ব্যবস্থা করেছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজল কান্তি চৌধুরী। সরেজমিন কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে নৌকার ব্যজ বুকে গেথে হাতে পানের বাটা ও সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে ভোটারদের সমাদর করতে দেখা গেছে। ফ্রি পান সিগারেট পেয়ে অনেক ভোটারই প্রার্থীর এই উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এই পান সিগারেটের ফ্রি বণ্ঠনকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সরেজমিন রবিবার দুপুর ১২টায় মেঘনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নারী ও পুরুষ ভোটারে ঠাসা। অতিরিক্ত জায়গা না থাকায় গাদাগাদি করে ভোট দিচ্ছেন তারা। বিদ্যালয়ের পিছনে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে গ্রামের নৌকার সমর্থক রবীন্দ্র দাস (৬৭) কোলে পান সুপারির পান্দান ও সিগারেট ফ্রী বিতরণ করছেন। তার বুকে নৌকার ব্যাজ। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে তিনি পান সুপারি ও সিগারেট বিতরণ করছেন বলে জানান।
এই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুপুর পোনে ১টায় গিয়ে দেখা যায় গ্রামের মিল্টন তালুকদার (২৫) রামকৃষ্ণগোসাই আখড়ার সামনে বসে এভাবে পান সুপারি ও ফ্রি সিগারেট বিতরণ করছেন। তার বুকেও নৌকার ব্যাজ। এই প্রতিবেদকের সামনেই তিনি ভোট দিতে আসা লোকদের তা বিতরণ করছেন।
মিল্টন তালুকদার বলেন, প্রার্থী আমার কাকা। তার পক্ষ থেকে ভোটারদের পান সিগারেট দিচ্ছি। তারা সাদরে নিচ্ছেন। এটা ভোট কেন্দ্রের সংস্কৃতি বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজল কান্তি চৌধুরী বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তবে ভোট কেন্দ্রে তিনি এসব বিতরণ করছেন না বলে জানান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বলেন, ফ্রি পান সিগারেট ভোট কেন্দ্রে বিতরণ নির্বাচনী আচরণবিরোধী ঘটনা। এটা দিয়ে ভোটারদের মানসিকভাবে দুর্বল করে তাদের পক্ষে টানা হচ্ছে। আমি কেন্দ্রে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন হলে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।