ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক কিশোরী (১৬) বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ শুক্রবার (১০ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.খালেদ চৌধুরীর হস্তক্ষেপে ওই কিশোরীর বাল্য বিয়েটি বন্ধ হয়েছে।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের এক যুবকের (২৬) সঙ্গে একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক কিশোরীর (১৬) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা আজ শুক্রবার বিকেল পাাঁচটার দিকে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল । স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীর কাছ থেকে এই বাল্য বিয়ের আয়োজনের খবরটি জানতে পারেন ধর্মপাশা থানার ওসি মো.খালেদ চৌধুরী। তাঁর নির্দেশে আজ বেলা পৌনে পাঁচটার দিকে এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে একদল থানা পুলিশ কনের বাড়িতে যায়। তাঁরা সেখানে গিয়ে বাল্য বিয়ের আয়োজনের সত্যতা পান। পরে তাঁরা বাল্য বিয়ের কুফল ও রাস্ট্রীয় আইনে বাল্য বিয়ের স্বীকৃতি না থাকার বিষয়টি কনের বাবাকে বুঝিয়ে বলার পর কনের বাবা এই বিয়েটি বন্ধ করতে সম্মত হন। এমনকি ১৮বছরের আগে তাঁর মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে দেবেন না বলে থানা পুলিশের কাছে তিনি লিখিতভাবে অঙ্গীকার করে।
ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধ। উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাল্য বিয়ে বন্ধে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষজনদের সহায়তা ছাড়া বাল্য বিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।