1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

২৫ বছর পরও সাক্ষ্যে আটকা মামলার বিচার

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১, ২.১৬ পিএম
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ভারী অস্ত্রসজ্জিত খুনিরা হামলা চালায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে। জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার নারকীয় তা-বের সময় ঘাতকরা দিগি¦দিক কামানের গোলাও ছোড়ে। গোলায় পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদপুরে শেরশাহ সূরি রোডে ১৩ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের মামলার বিচার ২৫ বছরেও শেষ হয়নি। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

ওই মামলায় ২০০১ সালে চার্জশিট দাখিলের পর ২০০৬ সালের ১ নভেম্বর চার্জগঠন হয়। গত ১৫ বছরে চার্জশিটের ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পেরেছেন আদালত। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান চৌধুরী পুলিশ বিভাগকেই দায়ী করেন। সরকারি এই আইনজীবী বলেন, ‘সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব পুলিশের। আমরা আদালত থেকে যথাযথভাবে সাক্ষী হাজির করতে পুলিশের কাছে সমন পাঠানোর পরও তারা তা করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটিতে দুই তদন্ত কর্মকর্তাসহ আরও কমপক্ষে ১২-১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রয়োজন। সাক্ষী হাজিরের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমেও আদালতের আদেশ পাঠানো হয়েছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না।’

মামলার নথিতে দেখা যায়, পাঁচ সাক্ষীকে হাজির করতে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেখেছেন। তারা হলেন- চার্জশিটের ৫২ নম্বর সাক্ষী মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ডা. এজাজ মাহমুদ, ৫৩ নম্বর সাক্ষী ডা. আবদুস সামাদ, ৫৪ নম্বর সাক্ষী ঢাকা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. এফএম হাসান, ৫৫ নম্বর সাক্ষী ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান ও ৫৬ নম্বর সাক্ষী ঢাকা মহানগর হাকিম এম আফজালুর রহমান।

১৫ আগস্টের সেই দিনের ঘটনায় আহত মোহাম্মদপুর থানাধীন ৩২/৫ শেরশাহ সূরি রোডের বাসিন্দা মোহাম্মাদ আলী মামলাটি করেন। তিনি ঘটনার সময় ৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাতে যান। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে (১৫ আগস্ট) ঊরুর বাম পাশে মারাত্মক আঘাতে তার ঘুম ভাঙে। পরে তিনি বুঝতে পারেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিপথগামী সেনাসদস্যদের দিগি¦দিক ছোড়া কামানের গোলা তাদের বাসায় আঘাত করেছে। তিনি দেখতে পান, শেরশাহ সূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়ি এবং শাহাজাহান রোডের ১৯৬ ও ১৯৭ নম্বর বাড়ির নারী-শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেনÑ রিজিয়া বেগম ও তার মেয়ে নাসিমা, আনোয়ার বেগম, সাহাব উদ্দিন আহম্মেদ ও আমিন উদ্দিন আহম্মেদ, রাশেদা খাতুন, ছাবেরা বেগম, সাফিয়া খাতুন, ময়ফুল বিবি, হাবিবুর রহমান, আবদুল্লাহ, রফিজল ইসলাম ও দুই বছরের শিশু আনোয়ার বেগম। ওই ঘটনায় বাদীসহ প্রায় ৪০ জন আহত হন। ঘটনার পর পরই মোহাম্মদপুর থানায় গেলে তৎকালীন ওসি রব দেশের অস্থিতিশীল অবস্থার অজুহাতে মামলা না নিয়ে লাশগুলো কবর দিয়ে দিতে বলেন। ফলে ওই সময় তারা মামলা করতে পারেননি।

২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তৎকালীন সহকারী কমিশনার মুন্সি আতিকুর রহমান আদালতে ১৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৬ সালের ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে চার্জশিটভুক্ত আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল আজিজ পাশা মারা যায়। বাকি ১৬ আসামির মধ্যে পাঁচজনের বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি। তারা হলোÑ সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ।

বর্তমানে মামলার ১১ আসামির সবাই পলাতক। তারা হলো- শরিফুল হক ডালিম, খন্দকার আবদুর রশিদ, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আবদুল মাজেদ, এএম রাশেদ চৌধুরী, আহমদ শরিফুল হোসেন ওরফে শরিফুল ইসলাম, কিসমত হাসেম, নাজমুল হোসেন আনসার, মোসলেম উদ্দিন ওরফে মোসলেহ উদ্দিন, মারফত আলী ও আলী হোসেন মৃধা।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!